Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News

বিজেপি বিরোধী জোটে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মমতা, দাবি সাগরিকা-সুস্মিতার

ওয়েটুবরাক, ২৫ এপ্রিলঃ আসন সমঝোতা না হলেও ইন্ডিয়া জোট বহাল রয়েছে৷ ভোটের পর জোটই নেতা তৈরি করবে৷ সে জায়গায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে৷ সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা চান, “দিদিই হোন প্রধানমন্ত্রী৷” তাঁদের বক্তব্য, এ মোটেও বাড়াবাড়ি নয়৷ কারণ আসন সংখ্যার বিচারে ইন্ডিয়ার তিন প্রধান শক্তি হবে তৃণমূল, ডিএমকে এবং কংগ্রেস৷ এ বার কত আসনে প্রার্থী দিয়ে কতজনকে জেতানো সম্ভব হয়েছে, সেই স্ট্রাইকিং রেট যদি দেখা হয়, তবে মমতাই থাকবেন শীর্ষে৷ সাগরিকার কথায়, জনপ্রিয়তার শীর্ষে কে, এতেই প্রমাণ মেলে৷
এই জায়গায় বাঙালি আবেগকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাননি সাগরিকা-সুস্মিতা৷ তাঁদের কাছে বরং বেশি গ্রহণযোগ্য মহিলা ইস্যু৷ দীর্ঘদিন পর একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী পাবে দেশ৷ এই প্রসঙ্গে তাঁরা উল্লেখ করেন, দিদিই সংসদে মহিলা প্রতিনিধিত্বের হার বাড়িয়ে দিয়েছেন৷
তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে ২৪, অসমে ৪, মেঘালয়ে ১ ও উত্তর প্রদেশে ১টি আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে৷ মাত্র ৪৮ আসনে লড়াই করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী? রাজ্যসভার দুই সদস্যা একযোগে প্রা্ক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের উদাহরণ দেন৷
কিন্তু ভোটের আগে আসন সমঝোতায় যিনি নেতৃত্ব দিতে পারলেন না, তিনি ভোটের পরে সকল বিজেপি-বিরোধীদের নেতা হবেন? আগেভাগেই নেতৃত্ব নিয়ে এমন দাবিতে কি জোটের ভবিষ্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ছে না? সুর নামিয়ে সন্তোষমোহন কন্যার জবাব, আসন সমঝোতা না হওয়ার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করা যায় না৷ দিদি শুধু চেয়েছিলেন, বিজেপি বিরোধী আসন বাড়ানোর জন্য যেখানে যে দল শক্তিশালী, সেখানে তারাই প্রার্থী দেবে৷ কংগ্রেস তা মানেনি৷ এর পরও দিদির ফর্মুলা মেনে তৃণমূল অসমের করিমগঞ্জে প্রার্থী দেয়নি৷ কারণ সেখানে কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে৷ কিন্তু কংগ্রেস শিলচরে সেই সৌজন্য দেখাতে পারেনি৷
প্রাক্তন সাংবাদিক সাগরিকা অবশ্য জোটের শরিকদের সমালোচনায় আগ্রহ দেখাননি৷ তাঁর আর্জি, “এ বার দেশ জুড়ে সবাই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিন৷ নইলে সংবিধান বাঁচবে না৷ মানুষের মৌলিক অধিকার বলে কিছু থাকবে না৷” পঞ্চদশ ভাষাশহিদের অঞ্চল বরাক উপত্যকার মানুষের ভাষা-আবেগ উসকে তিনি বলেন, “বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে শাসক দল স্থির করবে, আপনি কোন ভাষায় কথা বলবেন৷ এমনকী কার সঙ্গে কে প্রেম করবেন, কে কাকে বিয়ে করবেন, তাও বিজেপি স্থির করে দেবে৷ তাঁর প্রশ্ন, স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর কি আমরা আবার পরাধীনতাকে বরণ করব? প্রসঙ্গক্রমে মোদীর নয়টি বিরোধী সরকার ভেঙে দেওয়ার দৃষ্টান্তও উল্লেখ করেন সাগরিকা৷ লোকসভা নির্বাচনের পর কি একই কায়দায় মোদী তাঁর বিরোধী জোটকে টুকরো টুকরো করে দিতে পারেন না? সাগরিকা মমতাকে ‘বাঘিনী’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, দিদি নেতৃত্বে থাকলে তা সম্ভব হবে না ৷ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কম কসরত করেছে, পেরেছে কিছু করতে, পাল্টা প্রশ্ন তাঁর৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker