Barak UpdatesFeature Story

মহিলাদের ভোট বাড়ানোই চ্যালেঞ্জ কীর্তি জল্লির
DC Hailakandi working hard to encourage women for voting

১৮ মার্চঃ কয়েক কিলোমিটার হেঁটে মিজোরাম সীমাঘেঁষা উপজাতি গ্রামে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রত্যন্ত মুসলমান এলাকায় করছেন শাশুড়ি-বউ সম্মেলন। কোথাও সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন স্যানিটারি ন্যাপকিন, কোথাও থাকছে ভিভিপ্যাট-ইভিএম মেশিন। পোলিও সচেতনতা শিবিরে গিয়েও মায়েদের বললেন ভোটদানের কথা। স্বাস্থ্যশিবিরেও তাঁর একই বক্তব্য।

ভোটের মুখে এক মহিলার এমন ছুটোছুটিতে অনেকেরই প্রশ্ন ছিল, কোন দলের প্রার্থী তিনি? কোন চিহ্নে দাঁড়িয়েছেন?

না, তিনি ভোটে দাঁড়াননি। লোকসভা নির্বাচনে মহিলাদের ভোট বাড়ানোকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন হাইলাকান্দির জেলাশাসক কীর্তি জল্লি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় ৭৮.৩৬ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছেন। পুরুষদের হার ৮১.৩৪ শতাংশ। তিনটি বিধানসভা আসন নিয়ে এই জেলা। কোথাও মহিলারা পুরুষদের সমকক্ষ হতে পারেননি। তাই মহিলাদের ওপর থেকে কম ভোটের অপবাদ ঘোচাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন কীর্তিদেবী।

কাটলিছড়া এলাকার লালপানিতে স্বাস্থ্যসেবার বড় সমস্যা। বহু দূর হেঁটে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হয় গ্রামবাসীদের। তিনি ডাক্তার নিয়ে গেলেন খাসি অধ্যুষিত গ্রামটিতে। স্বাস্থ্য শিবিরেও উপজাতি মহিলাদের বললেন, সকালেই গিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন। পোলিও ড্রপ খাওয়াতে গিয়েও মায়েদের অনুরোধ করেন, ১৮ এপ্রিল নির্বাচনের দিনে ভোটটা দেবেন।

যত ঘুরছেন, তত বিস্ময় বাড়ছে আইএএস কীর্তিদেবীর। ইভিএমে কয়েক দফা ভোট হয়ে গেলেও বেশ কিছু মহিলা এখনও মেশিনটিই দেখেননি। মহড়ায় তিনি নিজে হাত ধরে তাঁদের বোতাম টিপা শেখান। কীর্তিদেবী আশাবাদী, এ বার জেলায় মহিলা ভোটদানের হার বাড়বে। মহিলারা সচেতন হওয়ায় পুরুষদের হারও বাড়বে বলে তাঁর অনুমান। জেলাশাসকের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছাড়াও ভোটের হার বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেও হচ্ছে পথনাটক, গান-বাজনার আসর, প্রচারপত্র বিলি। স্থানে স্থানে আয়োজন করা হচ্ছে অঙ্কন, ক্যুইজ। ইভিএম নিয়েও চলছে ভোটের মহড়া।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker