Barak UpdatesHappeningsBreaking News
এক ভোটারের নামে একাধিক পোস্টাল ব্যালট! কেলেঙ্কারির গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস
ওয়েটুবরাক, ৮ এপ্রিলঃ কেঁচো খুঁড়তে কি তবে সাপ বেরোচ্ছে! সকাল পর্যন্ত একটি পোস্টাল নিয়েই অভিযোগ ছিল। এক ভোটার তাঁর ভোট দিয়ে সেরে নিয়েছেন। আবার তাঁর নামে বাড়িতে গিয়েছে পোস্টাল ব্যালট। বিকেলে স্পষ্টীকরণ দিতে গিয়ে জেলাশাসক কীর্তি জল্লি ওই ঘটনাকে ছেড়েই দিয়েছেন। তিনি টেনে আনলেন পোস্টাল ব্যালটের আরেক কথা। নাম মিলে যাওয়ায় একজনের পোস্টাল ব্যালট আরেক জনের কাছে দিয়ে এসেছেন পোস্টম্যান। দুটো ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পোস্টাল ব্যালট নিয়ে সংশয় বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নালিশ জানিয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি করা হয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি সামনে আসে বুধবার বিকালে। জলসম্পদ বিভাগের কর্মী সৌমিত্র দত্তচৌধুরীর বাড়িতে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে যান পোস্টম্যান। নেড়েঘেঁটে দেখেন, হ্যাঁ, সেটি তাঁর নামেই মঞ্জুর করা পোস্টাল ব্যালট। ডাকপিয়নকে জানান, তিনি আগেই ভোট দিয়ে দিয়েছেন। তাও পোস্টাল ব্যালটেই। ডাকপিয়ন তা ফিরিয়ে নিতে রাজি হলেন না। পরে নির্বাচন শাখায় যোগাযোগ করলে তাঁকে দ্বিতীয় পোস্টাল ব্যালটটি নিয়ে যেতে বলা হয়।
জেলাশাসক কীর্তি জল্লি আজ পোস্টাল ব্যালট বিতর্ক নিয়ে জনসংযোগের মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি সৌমিত্রবাবুর ঘটনা নিয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি। বরং জানান, বিবেকানন্দ রোডের সুমিত্রা দাসের কথা। তিনি স্কুলশিক্ষিকা। কিন্তু ডাকপিয়ন ভুল করে প্রাইভেট টিউটর সুমিত্রা দাসের বাড়িতে দিয়ে আসেন। প্রাইভেট টিউটর বিস্মিত। তিনি সরকারি চাকরি করেন না। দ্বিতীয়ত, এ বার আশি-ঊর্ধ্ব, প্রতিবন্ধী, করোনা আক্রান্তদের পোস্টাল ব্যালটের বিশেষ সুবিধে দিলেও তিনি এর কোনওটাতেই পড়েন না।
শিলচর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী তমালকান্তি বণিক পোস্টাল ব্যালট নিয়ে এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগে পড়েন। তিনি বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিজেপি নানা কৌশলে নিজেদের ভোট বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। তমালবাবু জেলাশাসকের কাছে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি জানান।