Barak UpdatesHappeningsBreaking News
সুদর্শন গুপ্তের অকালপ্রয়াণে বাংলা সাহিত্য সভার শোকসভা
ওয়েটুবরাক, ২২ জানুয়ারি : বাংলা সাহিত্য সভার কেন্দ্রীয় কমিটির মিডিয়া সম্পাদক সুদর্শন গুপ্তের অকালপ্রয়াণে শোকসভার আয়োজন করল বাংলা সাহিত্য সভা অসম শিলচর সমিতি। শনিবার শিলচর শিশুতীর্থ স্কুলের প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই সভায় পৌরোহিত্য করেন বাংলা সাহিত্য সভা শিলচর সমিতির সভাপতি সমরবিজয় চক্রবর্তী। শুরুতে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ দিন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সমরবিজয় চক্রবর্তী বলেন, “বিস্তৃত প্রতিভার অধিকারী ছিল সুদর্শন। তাঁকে নিজের ছাত্র হিসেবে খুব কাছ থেকেই দেখেছি। রাধামাধব কলেজের অধ্যাপক হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গে এক নিবিড় সম্পর্ক
ছিল তাঁর। বাংলা সাহিত্য সভার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ছিল তাঁর।’ তিনি আরও বলেন, বয়স কম হলেও প্রতিটি কাজে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার মনোভাব ছিল তাঁর। সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁর এই শূন্যতা পূরণ হবে না কোনওদিন। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হলেও প্রতিটি বিষয়ে তাঁর দক্ষতা ছিল অসীম।
বাংলা সাহিত্য সভা শিলচর সমিতির কার্যকরী সভাপতি সুব্রত দাস বলেন, উঁচু মনের মানুষ ছিলেন সুদর্শন। তাঁর অকাল প্রয়াণ সমিতির বিরাট ক্ষতি। সাংগঠনিক কাজকর্মে তাঁর দায়বদ্ধতার বিশাল পরিধি ছিল। বক্তব্য রাখেন শিলচর সমিতির সদস্য নিবেদিতা চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী শান্তনু সূত্রধর, পার্থ দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপন দত্ত পুরকায়স্থ, সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বরুণজ্যোতি, অরিন্দম চৌধুরী,
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মকর্তা রোহিত চন্দ। প্রত্যেকেই বলেন, শিক্ষা সমাজের এক অনন্য পথিক সুদর্শনবাবু নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন সমাজের বিভিন্ন কাজে। তাঁর এই অকালপ্রয়াণ মেনে নেওয়া কঠিন। সাংবাদিক হিসেবেও তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। বিগত বন্যায় যখন প্রায় সব বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ ছিল তখন সুদর্শন গুপ্তের ওয়েটুবরাক এক বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল। মানুষের দুর্দশার চিত্র সহ বন্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল এই নিউজ পোর্টালে। পাশাপাশি কীভাবে মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই চিত্রগুলোও তুলে ধরা হয়েছিল। আসলে এমন ভালো শিক্ষক বন্ধু, স্বজন, শিল্পী সুদর্শন বরাকের এক উজ্জ্বল কর্মবীর ছিলেন। এ দিন সভার শেষে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।