CultureBreaking News

শাস্ত্রীয় আমেজ ছড়িয়ে পড়ল নাদবৃন্দের অনুষ্ঠানে

৩ ফেব্রুয়ারিঃ বার্ষিক অনুষ্ঠানে এবারও সুর, তাল আর ঝংকারে শাস্ত্রীয় আমেজ ছড়িয়ে দিল শিলচর ‘নাদবৃন্দ’। শহরের বঙ্গভবনে রবিবার বিকেল থেকেই শুরু হয় অনুষ্ঠান। কলকাতার আমন্ত্রিত  শিল্পীরা তো ছিলেনই, সে সঙ্গে স্থানীয় প্রতিভাদেরও সুযোগ দেওয়া হয়। নাদবৃন্দের বহুচর্চিত ‘সমক্ষে শিক্ষা সমীক্ষা’র এবার ছিল ১৬ তম আয়োজন। এই পর্বে  ৯ জন বিভিন্ন বয়সের প্রশিক্ষার্থী তবলা লহরা বাজিয়ে শোনান। সমবেত ও একক নৃত্য, শিল্পী ভট্টাচার্যের সেতার বাদনের পর মঞ্চে ডাক পান অতিথিরা।

এর আগে প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন হয় অনুষ্ঠানের। বরণ করা হয়  অতিথিদের। ছিলেন মুখ্য অতিথি ডা: গিরিধারী কর, সম্মানিত অতিথি বিভিসিএল-এর সিইও মুকেশ আগরওয়াল, টপসেমের রাজেন্দ্র আগরওয়াল, সংস্থার পক্ষে  সম্পাদক প্রশান্ত কিশোর দাস, জয়ন্তী ভট্রাচার্য, দেবাশিস চক্রবতী, সমরবিজয় চক্রবর্তী প্রমুখ ।


নাদবৃন্দের কার্যকরী সভাপতি বাসুদেব ভট্টাচার্যের লিখিত স্বাগত ভাষণ পরে শোনান সঞ্চালক অমিত সিকিদার। উপস্থিত হতে না পারলেও তিনি লিখিত বার্তায় জানিয়ে দেন, পন্ডিত কুমার বসুর হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল নাদবৃন্দ। তাঁর পরামর্শ মেনেই চলছে সাংস্কৃতিক পথচলা। সমক্ষে শিক্ষা সমীক্ষারও কিন্তু  রূপকার ছিলেন কুমার বসু।


গিরিধারী কর বলেন, বহু পথ পেরিয়ে সংস্কৃতি জগতে একটা মজবুত জায়গা  করেছে। অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্বের অবদান রয়েছে এই জায়গা বানিয়ে দিতে।  আগামীতেও এই ধারা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডা: গিরিধারী। মুকেশ আগরওয়াল নাদবৃন্দকে  সবসময় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

সংবর্ধনা পর্বে বরাকের  বিশিষ্ট শিল্পী রথীন্দ্র চক্রবর্তীকে সম্মান জানানো হয়। করিমগঞ্জের আরেক বর্ষীয়ান রণধীর রায়কেও সম্মাননা দেয় নাদবৃন্দ। যদিও তিনি অনিবার্য কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। অনুপম মন্ডলের তত্ত্বাবধানে সমক্ষে শিক্ষা সমীক্ষার পর ছিল সমবেত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। পরিচালনায় ছিলেন সন্দীপ ভট্টাচার্য। নয়ন দাসের পরিচালনায় পর পর দুটি নৃত্য ছিল। একক নৃত্যে খুব প্রশংসা কুড়ান ঐশ্বরিয়া চক্রবর্তী।


অতিথি শিল্পীদের অনুষ্ঠানে প্রথমে  উজ্জ্বল ভারতীর তবলা লহরা ছিল। হারমোনিয়ামে পন্ডিত সনাতন গোস্বামী  ও সারেঙ্গিতে পঙ্কজ মিশ্র সহযোগিতা করেন। তবলায় উজ্জ্বল ভারতী, তানপুরায় জ্ঞানশ্রী দাস, হারমোনিয়ামে সনাতন গোস্বামী ও সারেঙ্গিতে পঙ্কজকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন সঙ্গীতশিল্পী অনল চট্টোপাধ্যায়। একেবারে শেষে দেবাঞ্জন ভট্টাচার্যের সরোদ বাদন শোনা যায়। তবলায় ছিলেন চিরঞ্জিত মুখার্জি। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত চৌধুরী অনুষ্ঠানের ফাঁকে ধন্যবাদ জানান সবাইকে।

সব নিয়েএটা বলতে দ্বিধা নেই,  নাদবৃন্দের কাছ থেকে আরেকটি শ্রুতিমধুর সন্ধ্যা উপহার পেলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতপিপাসু।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker