India & World UpdatesHappeningsBreaking News

এনআরসির তথ্য সুরক্ষার জন্য বাজেট দেওয়া হয়েছে আরজিআইকে, সুপ্রিমকোর্টকে জানাল রাজ্য

ওয়েটুবরাক, ১ সেপ্টেম্বর : এনআরসির তথ্য সুরক্ষার জন্য কাজ চলছে৷ সিস্টেম তৈরি করে তা কার্যকর করার জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (আরজিআই)-র কাছে বাজেট পেশ করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা দিয়ে এই কথা জানিয়েছে আসাম সরকার৷

ডেপুটি সেক্রেটারি রণদীপ দাম শীর্ষ আদালতকে বলেন, ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএসএমএস) তৈরির জন্য গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার জেনারেলের (আরজিআই) অফিস থেকে ২২,৫৬,৭৫০ টাকা মঞ্জুর হয়েছিল৷ এ বছরের ৪ মার্চ ভিডিয়ো কনফারেন্সে আরজিআই কর্তাদের তা তৈরি করে দেখানো হয়৷ পরে এনআরসি স্টেট কো-অর্ডিনেটর এই সিস্টেম কার্যকর করার জন্য বাজেট পেশ করেন৷ তা দেখে আরজিআই আরও কিছু স্পষ্টিকরণ চায়৷ গত ১২ অগস্ট সে সবেরও জবাব পাঠানো হয়েছে ৷

এই সব বিবৃত করেই রাজ্য সরকার এনআরসির তথ্য সুরক্ষিত করার আগে পর্যন্ত আধার-বঞ্চিতদের জন্য পৃথক ব্যবস্থারই সুপারিশ করে৷ অসমে এনআরসি-র গেরোয় যে ২১ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড ঝুলে রয়েছে, তাদের পৃথক পরিচয়পত্র বা ভিন্ন নম্বর দেওয়া হবে বলে কেন্দ্র আগেই হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে  জানিয়েছিল৷ রাজ্য সরকার পৃথক ব্যবস্থার কথা বলে মূলত এ ব্যাপারেই সায় দিয়েছে৷

অসমে যে ২১ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড ঝুলে রয়েছে, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি)-র প্রথম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন তাঁরা৷ পরবর্তী সময়ে অনেকের নাম এনআরসিতে উঠলেও তাঁদের আধার এখনও আঁধারেই৷ যারা শেষ পর্যন্ত এনআরসি-ছুট হয়ে রইলেন, তাঁদেরও ফরেনার্স ট্রাইবুনালের মতামত ছাড়া বিদেশি বলা যায় না৷ সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্র-রাজ্য বহু বার এ কথা শোনালেও আধার কার্ড নিয়ে সমস্যা মিটছে না৷ এ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব৷ তাঁর কথায়, ‘‘এনআরসির সঙ্গে আধারের কোনও সম্পর্ক নেই৷ আধার নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়৷ তবে কেন ২১ লক্ষ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে?’’

ওই মামলার সূত্র ধরেই তাঁদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা বা ভিন্ন নম্বর দেওয়ার কথা বলে কেন্দ্র৷

কিন্তু আধার ঝুলে রইল কেন? কেন্দ্র হলফনামায় জানায়, এনআরসি-র নথি পরীক্ষার সময়ে অধিকাংশের আধার কার্ডের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷ পরে শীর্ষ আদালত জানায়, উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়া এনআরসি-র কোনও তথ্য রেজিস্ট্রার জেনারেল বা সরকারকে দেওয়া যাবে না৷ ২১ লক্ষ মানুষের আধারের বায়োমেট্রিকও আটকে পড়ল৷ তাই তাদের জন্য পৃথক নম্বরের কথা ভাবছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার৷

তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, এই পৃথক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্দোষ মানুষগুলিকে সন্দেহের খাতাতেই রাখা হবে৷ ভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী অসমের বাসিন্দারা আরও সমস্যায় পড়বেন৷

সুস্মিতা বলেন, তিনি পৃথক ব্যবস্থায় আপত্তি জানাবেন৷ সুপ্রিম কোর্টকে আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তুলে দিতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য সওয়াল করবেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker