Barak UpdatesFeature Story
‘নকল সরবরাহকারী’ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান কাছাড় কলেজের শিক্ষকরা
ওয়েটুবরাক, ২০ ফেব্রুয়ারি : দুই পরীক্ষার্থীকে সিক রুমে বসার ব্যবস্থা করে তাঁদের কাছে নকল সরবরাহে অধ্যক্ষের নাম জড়িয়ে পড়ায় সিদ্ধার্থশংকর নাথের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করলেন কাছাড় কলেজের শিক্ষকরা৷ আসাম কলেজ শিক্ষক সংস্থা (এসিটিএ)-র কাছাড় কলেজ ইউনিট উচ্চশিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টরকে স্মারকলিপি পাঠিয়ে বলেছে, সিদ্ধার্থশঙ্কর কলেজের সুনাম মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন৷
সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই পরীক্ষার্থী৷ জেরায় তারা জানায়, কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থশঙ্কর নাথই তাদের নকল সরবরাহ করেছেন৷ এরা তাঁর অতি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়৷ তাদের পরীক্ষার জন্য প্রথমে তিনি ‘সিকরুমে’র ব্যবস্থা করেন৷ অতিরিক্ত জেলাশাসক অন্তরা সেন জানান, নকল কাণ্ডের সঙ্গে অধ্যক্ষের নাম জড়িয়ে পড়ায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
এসিটিএ-র কাছাড় কলেজ ইউনিটের সভাপতি ড. মুকুলকুমার বরুয়া ও সম্পাদক কাজেন বসুমাতারি জানান, সোমবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তাঁরা বৈঠকে বসেন৷ সকলে অধ্যক্ষের এমন কার্যকলাপের সমালোচনায় মুখর হন৷ বৈঠকে আলোচনার প্রেক্ষিতে তাঁরা ডিরেক্টরকে স্মারকলিপি পাঠানো হয়৷
তাতে তাঁরা বলেন, অধ্যক্ষ অতি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সুবিধা পাইয়ে দিতে প্রথমে তাদের সিক রুমে বসার ব্যবস্থা করেন৷ তাও সিক রুম করেন নিজের কক্ষের পাশের রুমটিকেই৷ ওই রুমে আগে কখনও কোনও অসুস্থ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেনি৷ বাইরে থেকে যাতে কিছু বোঝা না যায়, সেজন্য জানালার কাঁচে কাগজ সেঁটে দেওয়া হয়৷ কোনও ইনভেজিলেটরের বদলে ওই রুমে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে৷ অভিযোগ, তাঁর হাত দিয়েই নকল পাঠাচ্ছিলেন সিদ্ধার্থশংকর৷
এসিটিএ নেতারা বলেন, এ শুধু কলেজের মর্যাদা মাটিতে মেশায়নি, কাছাড় কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রের স্বচ্ছতাকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন৷ তাই তাঁকে কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা বললেন শিক্ষক সংস্থার কর্মকর্তারা৷
সিদ্ধার্থশংকর নাথ যে এর আগেও পরীক্ষা বিতর্কে জড়িয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন, এরও উল্লেখ রয়েছে স্মারকপত্রটিতে৷