Barak UpdatesHappeningsBreaking News

১৯৬৪-র রিলিফ এলিজিবিলিটি কার্ড দেখেই ট্রাইবুনাল বলল, অরুণচন্দ্র ভারতীয়

ওয়েটুবরাক, ১৮ নভেম্বর : ১৯৬৪ সালের অগস্টে তাঁরা পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে আশ্রয় নেন৷ সে থেকে লাগাতার রয়েছেন অসমের কাছাড় জেলায়৷ এর পরও ২০১৪ সালে পুলিশ ছোট দুধপাতিল গ্রামের অরুণচন্দ্র পালকে বিদেশি বলে সন্দেহ করে৷ ফরেনার্স ট্রাইবুনালের নোটিস পেয়ে বিস্মিত গোটা পরিবার এবং আত্মীয়-পরিজনরা৷

আইনজীবী তন্ময় পুরকায়স্থের মাধ্যমে অরুণচন্দ্র ভারত সরকারের ত্রাণ বণ্টন দফতরের ‘রিলিফ এজিলিবিটি সার্টিফিকেট’ দেখান ট্রাইবুনালের সদস্য বিকে তালুকদারকে৷ ওই সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছিল ১৯৬৪ সালের ১২ অগস্ট৷ তাতে বাবা-মা, দুই দাদা এবং বোনের সঙ্গে দশ বছরের ছেলে হিসেবে অরুণচন্দ্রের নামও রয়েছে৷ সিলেটের বিলাশপুর গ্রাম থেকে তাঁরা প্রথমে এসে ওঠেন কাছাড় জেলার চন্দ্রনাথপুর এনএম ক্যাম্পে৷ পরে তাঁদের পাঠানো হয়েছিল মেহেরপুর ক্যাম্পে৷ সেখানে ছিলেন ১৯৬৬ সালের ৭ মে পর্যন্ত৷ সেখানকার ‘ক্যাম্প অ্যাডমিশন রেজিস্টারে’ও তাঁদের নাম রয়েছে৷ আশ্রয় শিবিরে নানা সমস্যা বলে তাঁরা তখন হরিনগরে ধর্মনারায়ণ দেবের বাড়িতে ঘরভাড়া নেন৷

১৯৮০ সালে তাঁরা জমি কিনে ছোট দুধপাতিলের বর্তমান ঠিকানায় আসেন৷ ৭৭ বছর বয়সী ধর্মনারায়ণ দেবও ট্রাইবুনালে হাজির হয়ে ১৯৬৬ থেকে তাঁদের বাড়িতে অরুণচন্দ্রদের ভাড়া থাকার কথা জানান৷ সমস্ত নথিপত্র দেখে ট্রাইবুনাল ৬৮ বছরের বৃদ্ধ অরুণচন্দ্র পালকে ভারতীয় বলে রায় দেন৷ আট বছরের ভোগান্তির পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পরিবারের সদস্যরা৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker