Barak UpdatesHappeningsBreaking News

বিকল্প নয়, পাহাড় লাইনকেই টিঁকিয়ে রাখতে হবে, দাবি অবিসার

ওয়েটুবরাক, ৮ মে : লংকা-চন্দ্রনাথপুর-বদরপুর রেল লাইন হোক লামডিং-বদরপুর-শিলচর(পাহাড় লাইন)-র সেকেন্ড লাইন। কোনও অবস্থাতেই পাহাড় লাইনের বিকল্প নয়। দীর্ঘ একুশ বছরে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাহাড় লাইনকে সচল রাখতেই হবে।

এই দাবি করেছে অল বরাক ইয়ুথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (অবিসা)৷ ছাত্র-যুব সংগঠনটির মুখ্য আহ্বায়ক বাহারুল ইসলাম বড়ভূইয়া বলেন, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল (নির্মাণ) বিভাগ সিভক-রংপু  রেল প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে ৪১.৫ আর সিকিমে ৩.৫ কিলোমিটার নতুন বিজি রেল লাইন প্রকল্পের ৮৬ শতাংশ অর্থাৎ ৩৮.৬৫ কিলোমিটার সম্পূর্ণ টানেলের মাধ্যমে নির্মাণ করছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সেখানে এমন কারিগরি প্রকৌশলী ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেল নির্মাণ করতে পারলে লামডিং-বদরপুর-শিলচর ব্রডগেজ সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাত্র ৩১ কিলোমিটার ডাইভারশন এলাকায় তারা কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে না, প্রশ্ন অবিসা নেতার।

তাঁর কথায়, ডিটেকছড়া-মাইগ্রেনডিসা ডাইভার্সন এলাকাতেই বার বার পাহাড় থেকে মাটি ধসছে, রেললাইনের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, সুড়ঙ্গে বৃষ্টির জল প্রবেশের মতো নানা ঘটনা ঘটছে। ফলে তাঁর জিজ্ঞাসা, ডাইভার্সন এলাকায় না গিয়ে পুরাতন মিটারগেজ লাইন ধরে কেন নির্মিত হয়নি ব্রডগেজ লাইন? বাহারুল জানান, ১৯৯৩ সালে নির্মাণ বিভাগের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিকে অগ্নিহোত্রী,   ২০০৯-১০ সালে  প্রিন্সিপাল ডাইরেক্টর অব অডিট আজাইব সিং এবং ২০১৫ সালে সেফটি কমিশনার এই ডাইভার্সন অংশ নিয়ে নানা শংকার কথা তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করেন৷ তাঁরা আশংকা প্রকাশ করছিলেন যে, এই অংশে সঠিক নিয়ম মেনে শক্তিশালী নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা না হলে মারাত্মক ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা ঘটতে পারে।
বাহারুল জানান, উন্নত কারিগরি প্রকৌশলী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই পাহাড় লাইনকে ভরা বর্ষা মরশুমে সর্বক্ষণ সচল রাখতে কেন্দ্রে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন, দিল্লি যাবেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker