Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আর্থিক অনিয়ম, অর্থ নয়ছয় : কৃষি সচিব শেওয়ালি দেবী বরখাস্ত
ওয়েটুবরাক, ১৯ মার্চ : সরকারের কোনও অনুমোদন নেননি, কিন্তু সরকারি অর্থ লেনদেনের জন্য পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়েছিলেন। ওই পাঁচ অ্যাকাউন্স থেকে টাকা তোলার আবার তিনিই ছিলেন একমাত্র স্বাক্ষরকারী। তখন আইএএস শেওয়ালি দেবী শর্মা স্টেট কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি)-র এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান তথা ডিরেক্টর। এখন বেশ কিছুদিন ধরে রয়েছেন কৃষি সচিব পদে। কিন্তু শিক্ষা দফতর তাঁর আমলের পাঁচ অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। গত শনিবার সরকারের কাছে সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। এর পরই শেওয়ালি দেবীকে সাসপেনশনের নির্দেশ জারি হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম এবং সরকারি অর্থ নয়ছয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা।
পৃথক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে চার এসিএস অফিসারকেও। তাঁরা হলেন শর্মিষ্ঠা বরা, মুনীন্দ্র বরদলৈ, সুকন্যা বরা এবং হেমন্ত কুমার দত্ত। রাজ্যসভার সদস্য অজিতকুমার ভুইয়ার সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলে সড়ক নির্মাণ দুর্নীতিতে তাঁরা জড়িয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিল্যান্স সেলের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। স্বরাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক বিষয়ক উপসচিব শর্মিষ্ঠা বরা, কামরূপ মেট্রোর অতিরিক্ত জেলাশাসক সুকন্যা বরা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হেমন্তকুমার দত্ত তিনজনই তখন ছিলেন সাংসদ ভুইয়ার তহবিলের নির্মাণকার্যের চেয়ারম্যান। তিনসুকিয়া জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী অফিসার মুনীন্দ্র বরদলৈ ছিলেন কামরূপ মেট্রোর জেলা উন্নয়ন কমিশনার। অভিযোগ, সড়ক নির্মাণের নামগন্ধ নেই, কিন্তু তাঁরা ঠিকাদারদের বিল মিটিয়ে দিয়েছিলেন। চার অফিসারের সাসপৈনশনের নির্দেশে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সাংসদ ভুইয়া৷ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পরে তাঁর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন৷ বলেন, “আমরা সাংসদকে কিছু বলছিলাম না৷ কিন্তু তিনি যদি দোষীদের পক্ষ নেন, তবে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে৷” নিজের গর্ত নিজেকে না খুড়তে ভুইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন৷