Barak UpdatesHappeningsBreaking News

ডলুতে চা বাগানই হোক, খরিলে বিমানবন্দর, দাবি মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের

ওয়েটুবরাক, ১১ মেঃ গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করলেও চা বাগানের কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি করা হলেও তা যে অসত্য ও অসাড় ছিল, ডলু টি কোম্পানি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ব্যালেন্স শিটেই সে কথার প্রমাণ মেলে। ব্যালেন্স শিটের নানা তথ্যপরিসংখ্যান তুলে ধরে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি জানায়, ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া বছরে ডলু বাগানের লাভ হয়েছিল ৪৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৫৪ টাকা। পরবর্তী এক বছরে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৬০ টাকা।

দুই সংগঠনের তরফে বিশ্বজিত দাস, মৃণালকান্তি সোম, অরিন্দম দেব, মানস দাশ, ফারুক লস্কর ও অরূপ বৈশ্য শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, শ্রমিকদের কাজ কমবে না বলে যে দাবি করা হয়েছিল, তাও যে ঠিক নয়, কোম্পানির হিসাবে শ্রমিক মজুরি বাবদ খরচে চোখ রাখলেই তা ধরা পড়ে। এ ছাড়া, তাঁদের কোনও আপত্তিই যে অহেতুক ছিল না, সুপ্রিম কোর্ট তা প্রমাণ করে দিয়েছে।

শ্রমিকদের অসহায়ত্ব থেকে রেহাই দিতে এবং সবুজ সম্প্রসারণে ডলু চা বাগানের উচ্ছেদ অংশে শ্রমিক সমবায় সমিতি গড়ে সেখানে বাগান নির্মাণে শ্রমিকদের উতসাহিত করতে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠান। দাবি করেন, সেখানে একটি প্যাকেজিং ইউনিট স্থাপন করা গেলে প্যাকেট চা বিক্রি করে সমবায় সমিতি লাভবান হবে।

মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকপত্র পাঠিয়ে তাঁরা বলেন, ডলুতে চায়েরই উতপাদন হোক, আর নতুন বিমানবন্দর হোক খরিল বাগানে। ওই স্মারকপত্রের প্রতিলিপি তাঁরা কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রীর কাছেও পাঠিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ওই স্মারকপত্রের কপি দিয়ে মৃণালকান্তি সোম ও অরিন্দম দেব বলেন, আমরা মনে করি, পাঁচগ্রামের কাগজ কলকেও বাঁচানো যেত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker