HappeningsBreaking News

নাগরিকত্ব/২ঃ ছয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে রিপোর্ট দিল জেপিসি
Citizenship 2: JPC submits report after extending term for 6 times

(যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন লাভের পর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৬ গত ৭ জানুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে গিয়েছে এটি। এ বার রাজ্যসভায় ওঠার পালা। কবে একে রাজ্যসভায় আনা হবে, আদৌ এ বার আনা হবে কিনা, সে সব প্রশ্নের মধ্যেও অনেকে জানতে চান, যৌথ সংসদীয় কমিটি যে ৪৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে কী কী লেখা রয়েছে। ওয়েটুবরাক পুরো রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে চলেছে। আজ এর দ্বিতীয় কিস্তি।)

রিপোর্টের ভূমিকায় যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন রাজেন্দ্র আগরওয়াল লিখেছেন,

১. ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই গেজেট অব ইন্ডিয়ায় সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ শিরোনামে যে বিল প্রকাশিত হয়েছিল, এর ওপর যৌথ কমিটির চেয়ারপার্সনকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। সেই অনুসারে চেয়ারপার্সন এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন এবং কমিটি যে সব সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছে সে সব যুক্ত করে তা পেশ করা হল।

২. ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল, ২০১৬ লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল। পরে ১১ আগস্ট তারিখে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে বিলটি পাঠানোর প্রস্তাব লোকসভায় পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১২ আগস্ট রাজ্যসভাও তাতে সম্মতি জানায়।

৩.

৪. যৌথ সংসদীয় কমিটিকে ২০১৬ সালের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনে তাদের প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়। ছয় দফায় সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রথমে বাড়ে ২০১৭ সালের বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিন পর্যন্ত। পরে তা হয় ২০১৮ সালের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনে।

৫. বিলটির বিশাল গুরুত্ব এবং এর সঙ্গে বহু মানুষ জড়িয়ে থাকার কথা মাথায় রেখে কমিটি বিভিন্ন সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন, সাধারণ জনতা এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে পরামর্শ ও মতামত চাইবার সিদ্ধান্ত নেয়। সে কথা প্রচার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ায় ৯ হাজারের বেশি স্মারকপত্র জমা পড়েছে।

৬. মাঠের অবস্থা বোঝার জন্য কমিটি তিনটি স্টাডি ভিজিটের ব্যবস্থা করে। ২০১৬ সালের ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর যায় যোধপুর, ২০১৭ সালের ১৮ থেকে ২০ এ্রপ্রিল আহমেদাবাদ এ রাজকোট এবং ২০১৮ সালের ৭ থেকে ১১ মে কমিটি গুয়াহাটি, শিলচর, শিলঙে যায়। সব জায়গায় অনুপ্রবেশকারী, এনজিও, জনপ্রতিনিধি সহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়।

৭. কমিটি মোট ১৪ বার সভায় বসে।

৮. ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ সালের ২২ মার্চ, ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি এবং ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আইন ও বিচার মন্ত্রক (লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ও লিজেসলেটিভ ডিপার্টমেন্ট) প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই বিল সম্পর্কীত সাক্ষ্য গ্রহণ করে।

৯. ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই ও ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল নন-অফিসিয়ালদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। কমিটি ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর রাজ্য সরকারগুলির প্রতিনিধিদের কাছ থেকেও মতামত শোনে। বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের আলোচনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকও প্রতিনিধিত্ব করে।

১০. ২০১৮ সালর ২০ নভেম্বর, ২৭ নভেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর কমিটি বিলের প্রতিটি অনুচ্ছেদ নিয়ে চর্চা করে এবং বিলটি নিয়ে কমিটির মতামত রিপোর্টে যুক্ত করা হল।

১১. ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি কমিটির সভায় রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয় এবং তা পেশের জন্য চেয়ারপার্সনকে কর্তৃত্ব প্রদান করে।

১২. এই সংশোধনী প্রস্তাবের সঙ্গে যেহেতু বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িয়ে রয়েছে, কমিটি তাই সেগুলো খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করে এবং নিজেদের মতামত, পরামর্শ, প্রস্তাব ও পরিবর্তনের কথা প্রয়োজনে উল্লেখ করেছে।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker