NE UpdatesHappeningsBreaking News

নিম্নবর্ণে বিয়ে, মৃত্যুর পর দাহ করতে দিল না মঙ্গলদৈর গণকসুবা গ্রামের মানুষ

পুঁতে রাখা দেহ তুলে সৎকারের ব্যবস্থা করল পুলিশ, ধৃত ১

ওয়েটুবরাক, ১৩ আগস্ট : ব্রাহ্মণ হয়ে কোচ মহিলাকে বিয়ে করায় গত ২৭ বছর ধরে  একঘরে ছিলেন মঙ্গলদৈ জেলার গণকসুবা গ্রামের অতুল শর্মা ও তাঁর পরিবার। মৃত্যুর পরেও তাঁর দেহ দাহ করতে দিল না গ্রামের মানুষ। বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহ নদীর পারে পুঁতে দিলেন। খবর জানাজানি হলে শুক্রবার পুলিশ মাটি খুঁড়ে দেহ তুলে সৎকার করে।

অতুল শর্মা লখিমপুরে একটি দোকানে কাজ করার সময় কোচ তরুণী প্রণিতা খাটনিয়ারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁকে বিয়ে করে বাড়ি ফিরলে গ্রামে আপত্তি ওঠে। নিম্নবর্ণে বিয়ে করায় অতুল শর্মাকে একঘরে করে দেন গ্রামের মানুষ।

প্রণিতাদেবী বলেন, ১০ আগস্ট রাতে হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়। গ্রামের মানুষ জানান, দাহকার্যে কেউ সাহায্য করবে না। চিতার কাঠও দেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত দুই ভাই ও জামাতা মিলে দেহটি নদীর পারে পুঁতে দেন।

পুলিশ গিয়ে নদীর পার থেকে মাটি খুঁড়ে অতুল শর্মার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে দেহ দাহ করা হয়। তাঁর পঞ্জাবে কর্মরত ছেলেও খবর পেয়ে আসেন। তিনিই মুখাগ্নি করেন। মৃতদেহ দাহ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker