NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story

Indo-Bangla Border to replace old wire fence with new smart cut-proof fence
কাঁটাতারের দিন ফুরিয়েছে, সীমান্তে বসছে নতুন বেড়া

২১ জানুয়ারি: ভারত-বাংলা সীমান্তে কয়েক বছরের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কাঁটাতারের বেড়া৷ এর বদলে দেখা যাবে সিঙ্গল রুফ ফেন্স৷ তিন পিলার তুলে মাঝখানটা কাঁটাতার পেঁচিয়ে দেওয়া নয়৷ বাঁশের বেড়ার মত সোজা সীমান্ত বরাবর দাঁড়িয়ে থাকবে এরা৷ তবে তা বাঁশের নয়, এগুলি তৈরি হবে বিশেষ ধরনের সংকর ধাতুতে৷ ওই ধাতু গ্যাস কাটার ছাড়া কাটা যায় না৷

ভারত সরকার ২০১৭ সালে কাঁটাতারের বেড়ার বিকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে৷ আসে সংকর ধাতুতে তৈরি জালের কথা৷ পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে বেছে নেওয়া হয় করিমগঞ্জ জেলার লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ি এলাকাকে৷ দুই দেশের সীমানা বিবাদের দরুন অসমের করিমগঞ্জ জেলার ওই অঞ্চলে এতকাল বেড়া বসানো যায়নি৷ বিবাদ মিটে যেতেই বেড়া নির্মাণের প্রস্তাব যায়৷ সরকার ওই তিন কিলোমিটার অংশে সিঙ্গল রুফ ফেন্স পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ একইসঙ্গে বেছে নেওয়া হয় ভারত-পাক সীমান্তের অমৃতসরের একাংশকে৷

করিমগঞ্জ অংশের কাজ শেষ হয় ২০১৮-র জুনে৷ এর পরও পরীক্ষানিরীক্ষা চলতে থাকে৷ এ মাসে নির্দেশ আসে, বরাক উপত্যকা বা মিজোরামের সীমান্তে যেখানেই বেড়া পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে, সেখানে সিঙ্গল রুফ ফেন্সই বসবে৷
পাইলট প্রজেক্টের দেড় বছরের অভিজ্ঞতায় খুশি বিএসএফ-ও৷

ডিআইজি জেসি নায়েক বললেন, শুধু কাঁটাতার কেটে নেয় বলেই নয়, নতুন বেড়ার উচ্চতাও ভাল ফল দেয়৷ মাদক ট্যাবলেটের মত পাচার সামগ্রী এখন আর ঢিল মেরে এপার-ওপার করা সম্ভব নয়৷ কেউ বেয়েও উঠতে পারবে না৷ এ ছাড়া, এতদিনেও লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ির কোথাও একটু মরচে ধরেনি বলে জানান ডিআইজি নায়েক৷

কাঁটাতারের আরেক সমস্যা হল মাঝখানে ঘাস বেড়ে এমন অবস্থা হয় যে, ও পারের কিছু দেখাই যায় না৷ তার জড়ানো বলে ঘাসগুলো কাটাও যায় না৷ জালে সেই সমস্যা নেই৷ ভারত সরকার অবশ্য সিঙ্গল রুফ ফেন্সের পাইলট প্রজেক্ট দিয়েই বসে নেই৷

এর মধ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে কম্প্রেহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম৷ এরও পাইলট প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে অসমে৷ ধুবড়ি জেলায়৷ সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের একাংশ রয়েছে নতুন প্রজেক্টে৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওই বেড়ায় স্থলসীমান্তে যুক্ত হয়েছে হুটার, ভাইব্রেটর, সেন্সর ইত্যাদি৷ জলসীমান্তে হবে লেজার ফেন্স৷ বরাকে লেজার ফেন্সের কথা এখনও না এলেও স্থলসীমান্তে সিঙ্গল রুফ ফেন্স যে ধীরে ধীরে স্মার্ট ফেন্সে পরিণত করা হবে, সে কথা পাইলট প্রজেক্টেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ অর্থ বরাদ্দ হলে লাঠিটিলা-ডুমাবাড়িতেও হুটার, ভাইব্রেটর লাগানো হবে৷ বসবে সিসিটিভি ক্যামেরা৷ সে সময় প্রহরীর সংখ্যাও কমে যাবে৷ কন্ট্রোল রুমে বসেই চলবে সব ধরনের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker