NE UpdatesHappeningsBreaking News
বাল্যবিবাহ মামলায় ধৃত ৪৪৮৩, জামিন ২২৫৩ জনের
ওয়েটুবরাক, ১৩ মার্চ: আসামে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অভিযানে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪০৪৯ জন ধরা পড়েছে। তার মধ্যে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে মোট ৪৬৭০টি মামলা দায়ের হয়েছে। ৪১১১টি বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটেছে। ৪৬৭০টি মামলা রুজু হয়েছে। ৩৪৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির মধ্যে ২২৫৩ জন ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। ১১৮২ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডলের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানালো রাজ্য সরকার। আরও জানানো হয়, পকসো আইনে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৮৯০৮ জন। বাল্যবিবাহ ও পকসো আইনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৭৭৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ৪৯৪ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ৬১৭৪ জন জামিনে মুক্ত আছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, প্রশাসন বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্বতপ্রণোদিত হয়ে বাল্যবিবাহের ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করেছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, সরকার হঠকারীভাবে বাল্যবিবাহের অভিযোগে নির্বিচারে ধরপাকড় শুরু করায় অনেক পরিবার সমস্যায় পড়েছে। সন্তানরা অসহায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু সরকারের তরফে জানানো হয়, বাল্য বিবাহের ফলে জন্ম হওয়া শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন নিয়ে এখন পর্যন্ত জেলার শিশু সুরক্ষা সমিতিগুলির কাছে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। তেমন কারও যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন হলে সরকার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা বলেন, অসমে প্রসূতি মৃত্যু ও সদ্যোজাতের মৃত্যুহার খুব বেশি। তার মূল কারণ বাল্যবিবাহ। বিরোধীরা রাজনীতি করার স্বার্থে এ নিয়ে শোরগোল করলেও অসমের ভবিষ্যৎ ও নারী এবং শিশুদের কল্যাণের জন্য সরকার এই অভিযান চালিয়ে যাবে। সরকার আরও জানায়, ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত গুয়াহাটিতে ৪৫২টি ধর্ষণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে ৮৭০০টি অপরাধ, মহিলা অপহরণের ৩১৫১টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। রাজ্যে চলতে থাকা এনকাউন্টারের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হিমন্ত জানান, ২০২১ সালের ১০ মে হিমন্ত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ জন আসামী মারা গিয়েছে ও ১২ জন জখম হয়েছে। পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে ৫ জন। একই সময়ের মধ্যে পুলিশের গুলিতে ২৬ জন দুষ্কৃতী মারা গিয়েছে ও ১৪৬ জন জখম হয়েছে।