Barak UpdatesBreaking News

এনআরসি নিয়ে জেনেবুঝে কথা বলতে অমিত শাহকে পরামর্শ রাজদীপ-ধর্মানন্দের
Amit Shah to comment on NRC after knowing the issue fully:Rajdeep-Dharmananda

২৪ সেপ্টেম্বরঃ এনআরসিতে যাদের নাম ওঠেনি, তাঁদের লাগাতার কটাক্ষ করে চলেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। একবার বলছেন, ৪০ লক্ষ অনু্প্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হবে। আরেকবার মন্তব্য করছেন, এঁরা উইপোকা। দেশটাকে খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাঁর এইসব মন্তব্যে বরাক উপত্যকা সহ অসমে বাঙালিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এমনকী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র ডা. রাজদীপ রায় এবং হিন্দু লিগ্যাল সেলের প্রদেশ আহ্বায়ক ধর্মানন্দ দেবও। বিড়ম্বনায় পড়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই বলছেন, অমিত শাহের এনআরসি সম্পর্কে জেনেবুঝে কথা বলা উচিত ছিল।

ডা. রাজদীপ রায়ের আশঙ্কা, এই ধরনের মন্তব্য ২০১৯-র ভোটে প্রভাব ফেলবে। কারণ বহু প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক খসড়ায় বাদ পড়েছেন। তাঁদেরও অনু্প্রবেশকারী বা উইপোকা বলায় তাঁরা আঘাত পাচ্ছেন। ১৯-র টিকিটের দাবিদার রাজদীপবাবুর দু-দিকেই সমস্যা। তবু মান বাঁচাতে তিনি অমিত শাহকে এনআরসি বিষয়ে ভালো করে জেনে নিতে পরামর্শ দেন।

হিন্দু লিগ্যাল সেলের প্রদেশ আহ্বায়ক ধর্মানন্দ দেব বলেন, অমিত শাহের মতো নেতার এই ধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর কথায়, চূড়ান্ত এনআরসির পরেও বহু মানুষ উপযুক্ত নথি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে যাবেন। রয়েছে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এনআরসি-ছুটদের মধ্যে কতজন অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন, তা এখনই বলা যায় না। এ ছাড়া, এই সময়ে এ ধরনের কথাবার্তা আদালত অবমাননারও সামিল। শীর্ষ আদালত বলে দিয়েছে, এনআরসি-ছুটদের এখনই অনু্প্রবেশকারী হিসেবে ধরা যায় না। একই কথা বারবার বলেছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল শৈলেশকুমারও। ধর্মানন্দবাবুর জিজ্ঞাসা, অনুপ্রবেশকারী হলে সু্প্রিম কোর্ট তাঁদের ফের আবেদনের জন্য দুই মাস সময় দিল কেন?

এনআরসি-র খসড়ায় নাম ওঠেনি শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পালের স্ত্রী অর্চনা পাল, অধিবক্তা পরিষদের নেতা শান্তনু নায়েক, গৈরিক ভারতের প্রধান মণিভূষণ চৌধুরীদেরও। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতির প্রশ্ন, তাঁরাও কি অনুপ্রবেশকারী, উইপোকা? অমিত শাহের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতিও। তাঁদের আশঙ্কা, জাতীয় নেতাদের এই ধরনের কথাবার্তায় উগ্র প্রাদেশিকতাবাদীরা উতসাহিত হবে। সমাজে শান্তি বিঘ্নিত হবে।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker