NE UpdatesHappeningsBreaking News

বজালি মামলা : ধৃত এসপির সুটকেসে মিলল ৬৪ লক্ষ টাকা

ওয়েটুবরাক, ৮ সেপ্টেম্বর : বজালি জেলায় অর্থ আদায় চক্রে জড়িয়ে রয়েছেন পুলিশ সুপার থেকে গাড়িচালক পর্যন্ত অনেকে। বাদ নেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডেপুটি পুলিশ সুপার কেউই। এ পর্যন্ত মোট দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ধরে আনা হয়েছে ধৃত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সরকারি আবাসনের রাঁধুনি ও কর্মীকে। শুক্রবার দিনভর গুয়াহাটি সদর দফতরে তাদের জেরা করা হয়।

রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজিপি হরমিত সিংহ জানান, ধৃত এসপি সিদ্ধার্থ বুঢ়াগোঁহাইর যে সুটকেস তাঁর গাড়িচালক দীপজয় কলিতার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সিআইডি সেটি আদালতে জমা করে। এ দিন ওই সুটকেস খুলে ৬৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যায়।

মামলার সূত্রপাত কী ভাবে হল? হরমিত বলেন, বজালি জেলার ভবানীপুর এলাকার সুপারি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের গাড়িতে গত ১৫ জুলাই রাতে ডিএসপি পুষ্কল গগৈর নেতৃত্বে পুলিশ দল মাদকের সন্ধানে তল্লাশি চালায়। মাদক না পেলেও রবিজুলকে তুলে নিয়ে ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়িতে সারা রাত আটকে রাখে। তার বোনের কাছ থেকে পুষ্কলবাহিনী নগদ দশ লক্ষ টাকা এবং ২৩টি চেক নিয়ে আসে। চেকগুলির মধ্যে তাঁর মায়ের স্বাক্ষর ছিল। দুটিতে অর্থের অঙ্কের উল্লেখ রয়েছে, বাকিগুলি ব্ল্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে শুরু হয় মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়ার জন্য রবিউলের ওপর চাপসৃষ্টি।

রবিউল পরে পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় বিষয়টি জানান। এরা পাঠায় সিআইডি-তে। অর্থদাবির অডিও রেকর্ডিং এবং নানা তথ্য তুলে ধরে ততকালীন এসপি সিদ্ধার্থ বুঢ়াগোঁহাই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গায়ত্রী সোনোয়াল, ডেপুটি পুলিশ সুপার পুস্কল গগৈ, বজালি থানার ওসি অর্ণবজ্যোতি পাটারি এবং ভবানীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবজিত গিরিকে অভিযুক্ত করে এজাহার দেন। সিআইডি তদন্তে নেমে যে দশজনকে গ্রেফতার করে, তাদের আটজনই পুলিশের অফিসার-কর্মী। বাকিরা হলেন দুই মধ্যস্থতাকারী। হরমিত জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker