Barak UpdatesHappeningsBreaking News

পরিবারের সদস্যদের যোগাভ্যাসে উৎসাহ জোগাতে হবে : দীপায়ন

তারাপুর গার্লসে নিরাময়ের উদযাপনে হাত বাড়াল মদনমোহন-শিক্ষা বিভাগ

ওয়ে টু বরাক, ২১ জুন : যোগ-এর মধ্য দিয়ে দেশের পরম্পরাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজকের দিনে ভারতীয় এই প্রাচীন প্রক্রিয়ার সুফল পাচ্ছেন গোটা বিশ্বের মানুষ। শুক্রবার তারাপুর গার্লস হাইস্কুলের দশম যোগ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসে এমন কথাই শোনালেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। শিলচরের নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থানের উদ্যোগে ও তারাপুর মদনমোহন ট্রাস্ট সহ শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করছিলেন বিধায়ক।

তিনি বলেন, শুধু নিজে যোগাভ্যাস করলে হবে না, পরিবারের বাকিদেরও অনুশীলনের উৎসাহ জোগাতে হবে। সর্বাঙ্গীন বিকাশের প্রশ্নে যোগাভ্যাসকে রোজকার সঙ্গী করতে হবে। অন্যথায় সেটা শুধু এই ২১ জুনের অনুষ্ঠান পর্যন্তই আটকে থাকবে। এ দিন বিধায়ক যোগ দিবসের প্রেক্ষাপট নিয়েও আলোচনা করেন। যোগ শিক্ষার প্রসার-প্রসারে নিরাময়ের অনবদ্য প্রয়াসকে সাধুবাদ দেন দীপায়ন চক্রবর্তী।

প্রদীপ প্রজ্বলন, শঙ্খধ্বনি ও বৈদিক মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মন্ত্র পাঠ করেন দেবাঞ্জনা কংসবনিক ও শ্রেয়া দত্ত। স্বাগত ভাষণ দেন মদনমোহন ট্রাস্টের সভাপতি ও নিরাময়ের উপদেষ্টা শিবব্রত দত্ত। তাঁর বক্তব্য, শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে যোগাভ্যাসের বিকল্প নেই। দিনে কমেও ৩০ মিনিট সময় বের করে সবারই যোগ অনুশীলন দরকার। শিক্ষা বিভাগের তরফে এসএসএ-কাছাড়ের ডিপিও ড.বিদ্যুৎ দেব চৌধুরী যোগ প্র্যাকটিস পড়ুয়াদের জীবনকে কীভাবে উজ্জ্বল করে তুলতে পারে, তা যুক্তি দিয়ে তুলে ধরেন। আরেক ডিপিও পাপড়ি ভট্টাচার্যর কথায়, মেয়েরা সমাজের ভিত। ফলে, তাঁদের সব দিক দিয়ে শক্ত-পোক্ত হতে হবে। এই ক্ষেত্রে নিয়মিত যোগাভ্যাসের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। এ বছরের যোগ দিবসের থিম, তার উদ্দেশ্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দিব্য গীতানন্দ। যোগ সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধির কথা তুলে ধরেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা চক্রবর্তী।

নিরাময় চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সভাপতি শোভন ব্যানার্জি, নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থানের মহিলা সেলের সভানেত্রী কল্যাণী চৌধুরী, ডিরেক্টর শতাক্ষী ভট্টাচার্য, ড. তুহিন দেশমুখ্য, পুনম বিশ্বাস সহ তারাপুর গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সিনিয়র সাংবাদিক রাহুল দেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় পর্বে ছিল কর্মশালা ও কমন যোগ প্রটোকল। পরিচালনায় ছিলেন নিরাময়ের ডিরেক্টর শতাক্ষী ভট্টাচার্য। সহযোগিতা করেন রাতুল চক্রবর্তী, তানিয়া শ্যাম ও আকাশ সাহা। প্রায় দুশ’ ছাত্রী একসঙ্গে যোগাভ্যাস করে। এই ভাগে বিশেষ নজর কাড়ে নিরাময় এর দিব্যাঙ্গ ছাত্র চিরন্তন দাস। সে দু চোখে দেখতে পায় না। তবে পরম্পরাগত যোগ অনুশীলন করছে। শুরু থেকে শেষ কর্মশালায় ছিল চিরন্তন। আনন্দময় পরিবেশে আসন, প্রাণায়াম ও ধ্যান অভ্যাস করতে দেখা যায় ছাত্রী সহ উপস্থিত প্রত্যেককে। শান্তি মন্ত্রের মাধ্যমে শেষ হয় কর্মশালা। নেওয়া হয় সংকল্পও।

এ দিন প্রত্যেককে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। মদনমোহন ট্রাস্টের তরফে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে মধ্যাহ্নভোজন করানো হয়। মুখ্য অতিথি, তারাপুর গার্লস, যোগ শিক্ষক সহ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক দেবাশিস পুরকায়স্থকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সম্মানস্মারক তুলে দেওয়া হয়। নিয়মিত যোগ অনুশীলনের সঙ্কল্প নেন সবাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker