Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মৃত্যুর পরও নাগরিকত্ব বিতর্ক! চন্দ্রধর মামলা নিয়ে হাইকোর্টে যাবেন সুস্মিতা
১৫ ডিসেম্বর: ১০৪ বছরে প্রয়াত হলেন চন্দ্রধর দাস৷ ‘বিদেশি’ তকমা গায়ে সেঁটেই রবিবার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হল দর্মি এলাকার বরইবস্তির এই শতায়ু বৃদ্ধকে৷ হাতে ১৯৬৬ সালের জমির দলিল, নাগরিকত্বের শংসাপত্র থাকলেও ট্রাইব্যুনাল সে সব দেখতেই চাইল না৷ প্রথমে একতরফা রায়ে বিদেশি বলে ঘোষণা করে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল৷ পরে সোজা শিলচর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে পোরে৷ পরে শারীরিক অসুস্থতার দরুন মানবিক কারণে হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে৷ একইসঙ্গে বৃদ্ধের নাগরিকত্বের বিষয়টি ফের খতিয়ে দেখতে ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দেয়৷ এর পর শুধু ট্রাইব্যুনালে হাজিরার তারিখই পড়ল৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য একটি দিনও শুনানি হল না৷ প্রথমদিকে শোনানো হল সরকারি আইনজীবী নেই৷ পরে বিচারক নেই৷
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে চন্দ্রধরবাবু অবশ্য নিজের জন্য নাগরিকত্ব নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না৷ তিনি ভাবতেন, তাঁর ছেলে-মেয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কথা৷ নিজের জীবদ্দশায় ভারতীয় নথিপত্রগুলি ট্রাইব্যুনালে পেশ করা না গেলে যে তাদের গলায় বিদেশি কাঁটা আটকে থাকবে! তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হল৷ চন্দ্রধরের মৃত্যুতে মামলা শেষ হয়ে গিয়েছে বটে, কিন্তু উত্তরসুরিরা যে বিদেশি হয়ে গেল! এমনকি এনআরসি থেকে নাম কাটা যাবে ভাইবোনদেরও৷
সোমবার তাঁর বরইবস্তির বাড়িতে যান প্রাক্তন সাংসদ, মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি, ব্যারিস্টার সুস্মিতা দেব৷ তিনি উদ্বিগ্ন নিকটাত্মীয়দের বলেন, এরও একটা উপায় বের করতে হবে৷ প্রয়াত চন্দ্রধর দাসকে ভারতীয় ঘোষণার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে যেতে হবে৷ এর কী কী আইনি পথ রয়েছে, তিনি নিজে ভাল করে খতিয়ে দেখবেন, কথা বলবেন প্রবীণ আইনি পরামর্শদাতাদের সঙ্গে৷ এ বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন বলে জানিয়ে আসেন চন্দ্রধরবাবুর ছেলেমেয়েকে৷ আর সে জন্য যাবতীয় আর্থিক ব্যয়ভার তিনিই বহন করবেন বলে জানান৷