Barak UpdatesHappeningsSportsBreaking News
খেলোয়াড়দের জাঁকালো অভ্যর্থনা ইটখলা ক্লাবের

ওয়েটুবরাক, ৯ এপ্রিল: মঙ্গলবার দুপুরে শিলচরে এলেন ইটখোলা অ্যাথলেটিক খেলোয়াড়রা। শহরে আসার পর জাঁকালো সংবর্ধনা পেলেন ক্রিকেটাররা।শিলচর রেলস্টেশনে স্বাগত জানানোর পর খেলোয়াড়দের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দক্ষিণ অসমের প্রথম দল হিসেবে গত রবিবার গুয়াহাটির জাজেস ফিল্ডে ত্রিরঙ্গা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে হারিয়ে অসম প্রিমিয়ার ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব দখল করে ইটখলা অ্যাথলেটিক ক্লাব। তাদের এই সাফল্যে বরাক উপত্যকার ক্রিকেটে জুড়ল আরও একটি পালক।সোমবার গুয়াহাটি থেকে এলেন অভয় যাদব ও ঋত্বিক ধর। গতকাল দুপুরে এলেন আরও ছয় জন।
শিলচর স্টেশনে আসার পর ভাষাশহিদ স্মৃতিতে প্রথম শ্রদ্ধা জানান ইটখলা ক্লাবের সভাপতি রতন সিং এবং সচিব পঙ্কজ সিং। এরপর এক এক করে ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানান দলের অধিনায়ক অভিষেক ঠাকুরি, রাহুল সিং, রেহান জমিল মজুমদার, ঋত্বিক ধর, অভয় যাদব, তুষার অয়নকান্তি, শুভজিৎ পাল, অনুরাগ সিনহা।
খেলোয়াড়দের সম্মান জানাতে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে ডিএসএ-র সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব অতনু ভট্টাচার্য সহ এক প্রতিনিধি দল সেখানে উপস্থিত হতেই পরিস্থিতি একটু অন্যরকম হয়। ডিএসএ সভাপতি বিজেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “খেলোয়াড়দের সম্মান জানানোর অধিকার কি আমাদের নেই?” এর জবাবে একটু কড়া সুরে বিজেন্দ্র বলেন, “না, নেই। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনারা কোনও অভিনন্দন জানাননি। এখন আপনাদের ফুল মালা দিতে হবে না।” তখন পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়।
ভাষাশহিদদের সম্মান জানানোর পর শুরু হয় বাইকে শোভাযাত্রা। বেলুন দিয়ে সাজানো একটি গাড়িতে তোলা হয় খেলোয়াড়দের। শোভাযাত্রা তারাপুর রেল স্টেশন থেকে এসপি অফিস, টেনিস ক্লাব, পার্ক রোড, সেন্ট্রাল রোড, ক্লাব রোড, ক্যাপিটাল ট্র্যাভেলস পয়েন্ট, কাছাড় কলেজ পয়েন্ট হয়ে প্রবেশ করে ইটখলায়। ইটখলায় প্রবেশের পর তাদের উদযাপন বাড়তি মাত্রা পায়। মালুগ্রাম, মধুরাঘাট, পঞ্চানন শিববাড়ি, ঘনিয়ালা হয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয় ইটখলা অ্যাথলেটিক ক্লাবের সামনে। ক্লাব সভাপতি রতন সিঙের পৌরোহিত্যে আয়োজিত এক সভায় খেলোয়াড়দের এই সাফল্যের প্রশংশা করা হয়। এরপর ক্লাবে খেলোয়াড়দের মিষ্টিমুখ করানো হয়। ক্লাব সভাপতি রতন সিং বলেন, “শীঘ্রই খেলোয়াড়দের আমরা আনুষ্ঠানিক সম্মান জানাব।ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিং, অধিনায়ক অভিষেক ঠাকুরিও।