India & World UpdatesHappeningsBreaking News
উত্তাল সমুদ্র, ‘তকতে’-র দাপটে দক্ষিণ ভারতে প্রাণ হারালেন ৬ জন
ওয়েটুবরাক, ১৬ মেঃ ‘তকতে’-র দাপটে দক্ষিণ ভারতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটকে ৪ জন, কেরলে ২ জন। শনিবার রাতে ঝড়ের দাপটে ৭৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্নাটক প্রশাসন। যে ছয়টি জেলায় ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে তিনটি উপকূলবর্তী ও তিনটি পশ্চিমঘাট পর্বত সংলগ্ন। আজ রবিবার বেলা বাড়তেই গোয়ায় ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। এক বড় অংশে ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাত উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। মঙ্গলবার সকালে ‘তকতে’ গুজরাতের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্দেশ দিয়েছেন, ঝড়ের জন্য করোনা চিকিৎসায় যেন কোনও সমস্যা না দেখা দেয়। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি। ঝড়ের সময় দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।
রবিবার সকাল থেকেই উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ-এর উপকূলবর্তী অংশে বিপুল বৃষ্টি চলবে। শুধু তাই নয় কেরল, তামিলনাড়ু উপকূলেও সমুদ্রের বিশাল ঢেউ জানান দিচ্ছে ঝড়ের ভয়াবহতা।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তকতে কর্নাটকের উপকূলে আংশিক ভাবে আঘাত হেনেছে। মোকাবিলা করতে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ১ হাজার মানুষ ২৪ ঘণ্টা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। কর্নাটকের তিনটি উপকূলবর্তী জেলায় কাজ চলছে। ও দিকে বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ৫০০ করোনা আক্রান্তকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। ঝড়ের জন্য বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।