Barak UpdatesHappeningsBreaking News
তারাপুর শিববাড়ি রোডে উদ্ধার বৃদ্ধা মা ও ছেলের মৃতদেহDead body of mother & son recovered from Tarapur Shivbari Road
৭ জুন: শিলচর তারাপুর শিববাড়ি রোডে মা-ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷ ৪৭ বছর বয়সী সাগররঞ্জন দাসকে ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ পাশে বিছানায় শায়িত অবস্থায় উদ্ধার হয় মা প্রতিভা দাসের মৃতদেহ৷ তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই৷ ফলে কী করে মারা গেলেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা, তা রহস্যাবৃত৷
সাগরবাবুরা শিববাড়ি রোডের তারকেশ্বর লেনে অমিত ওরফে কাবুল বর্ধনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। পাশাপাশি ঘরে মালিক-ভাড়াটে৷ সাগরবাবুর পত্নী ছবিরানী দাস জানিয়েছেন, স্বামী আগে অটো চালাতেন। কিছুদিন ধরে অটো বিকল হয়ে পড়ায় তিনি ছিলেন প্রায় বেকার। সেজন্য বাড়ি ভাড়া জমে যায় কয়েক মাসের। বাড়ির মালিক ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। ছবিদেবী কথা বলেন তার ভাইদের সঙ্গে৷ তারা রাজি হন তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিতে। কথা হয়েছিল রবিবারই তারা ছেড়ে দেবেন বর্ধনবাড়ির ভাড়াঘর। সেজন্যই সকাল ৮টা নাগাদ একবার যান বাবার বাড়িতে। যাওয়ার আগে স্বামী এবং শাশুড়িকে চা করে খাইয়ে যান।
সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ফিরে দরজা খুলতেই দেখেন এই ভয়ানক দৃশ্য। বিছানায় শায়িত বৃদ্ধা শাশুড়ি, পাশে সিলিং ফ্যানে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস পরানো স্বামীর মৃতদেহ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মালিকপক্ষ জানিয়েছেন, সাগরবাবু কয়েকমাস ভাড়া দিতে না পারায় তারা ঘর ছেড়ে দিতে বলেছিলেন ঠিক। তবে ঘর ছেড়ে দিলে বকেয়া মেটানোর প্রয়োজন নেই, এটাও জানিয়েছিলেন। একেবারে পাশের ঘরে কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন তারা।পুলিশও এই মুহূর্তে ঘটনা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তারা।