Barak UpdatesBreaking News
গোলদিঘি মলে সুরক্ষা কোথায়? ম্যানেজমেন্ট কমিটির কাছে জানতে চাইলেন ব্যবসায়ীরাSerious lapses in security at Goldighi Mall, merchants accuse management of apathy
৬ এপ্রিল : শিলচর গোলদিঘি মলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মল ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ব্যবসায়ীরা। মল পরিচালনায় সময়মতো অর্থ দেওয়া সত্ত্বেও এর পরিকাঠামো এ পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন প্রতিদিন অসুবিধেয় ভুগছেন, তেমনি তেমনি নিরাপত্তাহীন ক্রেতা বিক্রেতা সবাই।
শনিবার মলের পরিকাঠামোগত বিভিন্ন অসুবিধা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উজাড় করে দিয়েছেন তারা। গোলদিঘি মল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রামানুজ গুপ্ত বলেন, প্রায় ২ লক্ষ বর্গফুটের এই মলটি উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সব থেকে বড়। মলটি খুব স্বাভাবিকভাবেই এখানকার মানুষের গর্বের বিষয়।
কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই মলটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মলের মূল প্রবেশপথে যাওয়া আসায় কোনও তল্লাশির ব্যবস্থা নেই। ফলে যে কেউ যে কোনও কিছু নিয়ে অনায়াসে ভেতরে চলে আসতে পারে। এভাবে কোনও দুষ্কৃতীর হাতে হামলার আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মলে সিসি টিভি লাগানো হলেও সেগুলো কাজ করছে না। ফলে এখানে কড়া নজরদারির সুবিধাও নেই।
তিনি আরও বলেন, এর আগে মলের ব্যবসায়ীরা অভাব অভিযোগ নিয়ে পুরপতি তথা মল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুরকে একটি স্মারকপত্র দিয়েছিলেন। তখন তিনি ব্যবসায়ীদের বলেছিলেন, মলের আয় ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য নেই। বিশেষ করে বিদ্যুতের খরচ বাবদ মল লোকসানে চলছে।
তখন মলের ব্যবসায়ীরাই সিদ্ধান্ত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বাবদ ২০ টাকা করে দেওয়া হবে। পুরসভাও তখন বলেছিল, বিদ্যুৎ মাশুল বাড়িয়ে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন থেকে ইউনিট প্রতি কুড়ি টাকা দেওয়া হলেও মল পরিচালনায় সামান্যতম ততপরতা দেখা যায়নি বলে এদিন ব্যবসায়ীরা সরাসরি অভিযোগ আনেন।
তারা জানান, গত ১ এপ্রিল মল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সম্পাদক রাজেশ দাসকে একটি চিঠি দিয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্রেতা স্বাচ্ছন্দ্যের পয়েন্টগুলো তাঁর কাছে জানতে চান। কিন্তু ৫ দিন চলে গেলেও তিনি টুঁ শব্দটি করেননি। এর দুই বছর আগেও পুলিশ বিভাগের কাছে সমস্যাগুলোর কথা তাঁরা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পুনরায় একই কথা জানাতে চাইছেন প্রশাসনকেও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গোলদিঘি মল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সন্দীপ পাল, ইন্দ্রনীল সিনহা, গোবিন্দ কংসবণিক, অশোক পাল, স্বপন কুমার পাল প্রমুখ ছিলেন ।