“তিন ডজন পদ্য” : কবির শহরে এক অপরিচিত কবি, লিখেছেন অমিত সিকিদার

//অমিত সিকিদার//

মাঘের শুরু। এ শহরে শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। প্রাচীন বৃক্ষের ঝরে পড়া শুকনো পাতা জ্বালিয়ে শুষে নেয় উত্তাপ,–কিছু ভবঘুরে। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে শীত এখানে উৎসব। উৎসব আরও নানা বিজ্ঞাপনে । গান বাজনা নাচ বই মেলা নাটক পৌষ পার্বণ। এ রকম শীতে ‘মেলা’-র নাম নিয়ে দূর দেশ থেকে আসে পরিযায়ী বই বিক্রেতারা।বইপ্রেমীদের ঘরে নতুন বইয়ের গন্ধ ভাসে।
এমন এক সন্ধ্যায় মাঘস্য দ্বিতীয় দিবসে(ব্যাকরণ মানি না) শিলচর মধ্যসহর সাংস্কৃতিক সমিতির প্রেক্ষাগৃহে বসল এক অনবদ্য পদ্য সংকলনের ‘আলো- দেখার’ সভা। বিশিষ্টজনরা সভা করেছেন আলোকিত। কবি এলেন মাইক্রোফোন হাতে। কবির শহরে এক অপরিচিত কবি। নাম ত্রিদেব চৌধুরী। প্রাক্তন ব্যাঙ্কার। “তিন ডজন পদ্য”—-বইয়ের নাম। ত্রিদেব নীরস গদ্যে পারদর্শী। সভায় উপস্থিত অন্যতম বিশিষ্টজন শিক্ষাবিদ সুজিত ভট্টাচার্য তো বলেই ফেললেন, “ত্রিদেব তোমার গদ্য পড়ি, …”। এবার ছন্দে মাতলেন ত্রিদেব। বিজ্ঞানমনস্ক ত্রিদেবের পদ্য সংকলন খুলে দেখা গেল প্রযুক্তি আর পদ্য, মিলেমিশে এক প্রচন্ড ঝাঁকুনি। ইলাস্ট্রেশনে এআই । অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা । কবি নিজেই এঁকেছেন। বইয়ের প্রতিটি পাতায় যেন চঞ্চল বালক ত্রিদেব। যা শিশু বৃদ্ধ সকলের পাতে সুস্বাদু হিসেবে গণ্য হবে। বরাকের সাহিত্য চর্চায় যেন শেষ পাতে গাঙ্গুরামের রসগোল্লার মতো কোমল ও সুস্বাদু। উল্লেখ্য যে, পদ্য সমারোহে পূর্বজ কবিরা যেন আবছা ভাবে উপস্থিত। উঁকি দিয়ে দেখছেন,”কে এলো” ! পাঠকরা তাকিয়ে আগামীতে কবি ত্রিদেব চৌধুরীর কলমের দিকে। না, ভুল হলো —–কম্পিউটারের কি-প্যাডের দিকে।

(অনুষ্ঠানে কবি ত্রিদেব চৌধুরীর কবিতা আবৃত্তি করছেন অমিত সিকিদার৷ একেবারে উপরের ছবিতে কবি ত্রিদেব চৌধুরী৷)