Barak UpdatesHappeningsBreaking News
সাংবাদিক, সমাজকর্মী পীযূষকান্তি দাস আর নেইJournalist & social activist Pijush Kanti Das passes away
২৭ মেঃ অত্যন্ত প্রাণবন্ত মানুষটি আর নেই। সাংবাদিক, সমাজচিন্তক, সংগঠক, পরিবেশপ্রেমী—-কোনও বিশেষ পরিচয়ে গণ্ডীবদ্ধ করা যায় না তাঁকে। কিন্তু সবাইকে শোকের গণ্ডীতে আটকে দিয়ে চলে গেলেন পীষূষকান্তি দাস। বুধবার রাত সোয়া এগারোটায় গুয়াহাটিতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বছর স্ত্রী শান্তশ্রী সোম একটি কিডনি দিয়ে সুস্থ করে তুলেছিলেন তাঁকে। কিন্তু আচমকাই গত সপ্তাহে শারীরিক অবনতি ঘটে। ধরা পড়ে আরও কিছু জটিল সমস্যা। দ্রুত শিলচর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গুয়াহাটিতে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তিনদিন ধরে এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিতসাধীন ছিলেন।
মৃত্যুকালে পীষূষবাবুর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। রেখে গিয়েছেন স্ত্রী শান্তশ্রী, ১৭ বছরের কন্যা সিঞ্জিনী সৌহার্দ্য,বৃদ্ধা মা, ভাই, বোন, ভাতিজা-ভাতিজি সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধদের। ছাপা ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেছেন। মৃত্যুক্ষণেও ছিলেন নিউজলাইভের শিলচর ব্যুরো চিফ। তাঁর মৃত্যুতে বরাক উপত্যকা জুড়ে শোকের আবহ।
বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। বহু সমাজকর্মী ব্যক্তিগতভাবে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যু এই অঞ্চলের জন্য এক বিশেষ ক্ষতি। ছাত্রজীবন থেকে সংগঠন করেছেন। বরাক উপত্যকার স্বার্থে সবসময় সরব হতেন। সব ধরনের আগ্রাসনের তিনি ছিলেন তীব্র বিরোধী। পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমী পীযূষবাবু টিপাইমুখের প্রস্তাবিত নদীবাঁধের প্রতিবাদে মুখর ছিলেন। অনেকদিন ধরে তিনি বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর আঞ্চলিক সমিতির কার্যবাহী সদস্য হিসেবে নানা ইস্যুতে সক্রিয় ছিলেন।