Barak UpdatesHappeningsBreaking News

গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট নির্মাণের শুরুতেই অনিয়ম, রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস

ওয়েটুবরাক, ২৩ মে : কাছাড় জেলার ডলু টি এস্টেটে ৩০ লক্ষ চা গাছ উপড়ে গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট নির্মাণের উদ্যোগে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস৷ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া দুইদিন শিলচরে অবস্থান করে সোমবার ফিরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, বাজেটে প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের জন্য কোনও অর্থবরাদ্দ হয়নি৷ চলতি অর্থবর্ষে মোট ২১টি নতুন বিমানবন্দরের জন্য অর্থবরাদ্দ হয়েছে৷ এর মধ্যে শিলচর বা কাছাড় জেলার উল্লেখ নেই৷ তিনি এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ জানতে চান, পরিবেশের ওপর এর প্রভাব পরিমাপ না করেই কীভাবে ৩০ লক্ষ চা গাছ উৎপাটনে বুলডোজার লাগিয়ে দিল প্রশাসন৷ এই ব্যাপারে এদিনই তিনি অসম রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন৷ লিখেছেন জেলাশাসককেও৷

এই এয়ারপোর্ট নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা শইকিয়া৷ জানতে চান, তড়িঘড়ি করে চা বাগানের জমি অধিগ্রহণ, মালিকপক্ষকে ক্ষতিপূরণের অর্থপ্রদান, চা গাছ উপড়ে ফেলার পেছনে কোন রহস্য ? তাঁর কথায়, শিলচরে একটি অসামরিক বিমানবন্দর প্রয়োজন, এ অনস্বীকার্য৷ তাই বলে অনিয়ম করে এমন প্রকল্পের কাজ এগোবে, তা মানা যায় না৷

নুমলিগড় রিফাইনারি সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদাহরণ টেনে শইকিয়া জানান, সেখানে একটি চা বাগানের ৬০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে৷ সে জন্য ১৫৬জন স্থায়ী শ্রমিককে পাঁচ লক্ষ টাকা করে এবং ২২২ জন অস্থায়ী শ্রমিককে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে৷ রিফাইনারি তাঁদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে স্থায়ী এবং ৫০ জনকে অস্থায়ী শ্রমিক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে৷ কিন্তু ডলুর চা শ্রমিকরা কথা বলতে চাইলেই ১৪৪ ধারা জারি করে তাদের ঘরে আটকে রাখা হয়৷ বিরোধী নেতাদের কাউকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না৷ তাঁরা কথা বলতে চাইলে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker