Gauhati High Court orders eviction of non-tribals from tribal belts
ট্রাইবাল বেল্টের জমি থেকে অ-জনজাতিদের উচ্ছেদ করতে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

৩০ ডিসেম্বর: নির্দিষ্ট করে দেওয়া ট্রাইবাল বেল্ট বা ব্লকে যে সব অ-জনজাতি পরিবার অবৈধভাবে জমি দখল করে রেখেছে তাদের দ্রুত উচ্ছেদের জন্য আদালত অসমের ৯ জেলাশাসক ও বড়োল্যান্ডের প্রধান সচিবকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন৷ ওই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে৷ এই কাজে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গৌহাটি হাইকোর্ট৷ প্রয়োজনে তাঁদের বেতন থেকে কেটে ক্ষতিপূরণ মেটানো হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্য বিচারপতি অজয় লাম্বা ও বিচারপতি অচ্যিন্ত মল্ল বুজরবরুয়াকে নিয়ে গঠিত গৌহাটি হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ৷ উচ্ছেদ নিয়ে তাঁদের কড়া অবস্থানের দরুন জেলাশাসকরা বিপাকে পড়েছেন৷ একমাসের মধ্যে এমন জটিল কাজের কতটা করা সম্ভব, দুশ্চিন্তায় তাঁরা৷

রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের অবশ্য এ নিয়ে ভাববার কিছু নেই৷ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এক মামলায় উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোন কোন জেলায় অবৈধভাবে অজনজাতিরা জনজাতি বেল্ট বা ব্লক দখল করে রেখেছে৷ জেলাগুলি হল…. বঙ্গাইগাঁও, কামরূপ মেট্রো, তিনসুকিয়া, মরিগাঁও ও শোণিতপুর৷ এ ছাড়া কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা ও উদালগুড়ি জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল৷

এর আগে মামলার শুনানি পর্বে রাজস্ব ও দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের যুগ্ম সচিব গীতাঞ্জলি বরুয়া আদালতকে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ভূমিনীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন লাভ করেছে৷ গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি এখনও হয়নি৷ নতুন আইনে জনজাতিদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা যেন অ-জনজাতি দখল করে রাখতে না পারে, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ উচ্চ আদালত গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন৷ ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাদের৷ তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন ৯ জেলাশাসক ও বড়োল্যান্ডের প্রধান সচিব৷