হাতিদের চলাচলের জন্য ভাঙা হবে মিঠুনের রিসর্ট

১৫ অক্টোবর: তামিলনাড়ুর নীলগিরির হাতি করিডর নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। ২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, নীলগিরি জেলার মুদুমালাই জাতীয় উদ্যানের কাছে তৈরি সব রিসর্ট ভেঙে ফেলতে হবে।  তামিলনাড়ু সরকার ওই এলাকাকে হাতিদের চলাচলের জন্য (এলিফ্যান্ট করিডর) চিহ্নিত করতে পারবে। ওই এলাকায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী সহ বেশ কিছু সেলিব্রিটির রিসর্ট রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট পুরনো রায় বহাল রাখার ফলে ভেঙে ফেলতে হবে সেখানকার আটশোরও বেশি নির্মাণ।

নীলগিরির ওই রিসর্টগুলির জন্য এলাকার বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে বলে ১৯৯৬ সালে প্রথম আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন এ রঙ্গরাজন। তার পরে ২০০৭-’০৮ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, হাতি করিডরের একেবারে গা ঘেঁষে রিসর্টগুলি তৈরি হওয়ায় সেখানে জনসমাগম বাড়ছে। যার জেরে হাতিদের যাতায়াতের অসুবিধে হচ্ছে। তারা বারবার পথ পরিবর্তন করছে৷ ফলে গোটা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার রায়ে রিসর্টগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু মিঠুন-সহ মোট ৩২ জন আবেদনকারী সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মিঠুন তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, তাঁর রিসর্টের মাধ্যমে এলাকার বহু আদিবাসী পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়। রিসর্ট মালিকদের একাংশের আরও বক্তব্য ছিল, তাঁরা আইন মেনে ওই এলাকায় রিসর্ট বানিয়েছেন।