NE UpdatesBarak UpdatesBreaking News

অসম দর্শন প্রকল্পে কাঁচাকান্তি মন্দিরও পাচ্ছে ১০ লক্ষ, চেক দিলেন সর্বা
915 religious institutions in Assam including Kanchakanti Temple gets govt grants

২৪ ফেব্রুয়ারি : অসম দর্শন প্রকল্পের অধীনে উধারবন্দ কাঁচাকান্তি মন্দির ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান পেয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কাছাড় জেলার এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরকেও অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। সোমবার গুয়াহাটিতে কাঁচাকান্তি মন্দির কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এই অর্থ বাবদ চেক তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

কাঁচাকান্তি মন্দির ছাড়াও মাজুলি আউনীআটী সত্র, নগাঁও-এর বরদোয়া থান, দরঙের রুদ্রেশ্বর দেবালয়, শোণিতপুরের মহাভৈরব মন্দির, গোলাঘাটের শ্রীআট খেলিয়া বর নামঘর, কামরূপের হাজো পোয়ামক্কা, কার্বি আংলং-এর রাওজান ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, ধুবড়ির গুরু তেজ বাহাদুর সাহেবজি ও তিনসুকিয়ার মাওলং বৌদ্ধ বিহার ইত্যাদি রয়েছে।

গুয়াহাটি খানাপাড়া আর পশু চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এই চেক বিতরণ পর্বে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অসম দর্শন প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ইত্যাদি ধর্মের ৯১৫টি তীর্থস্থান দেবালয় উপাসনা স্থল ও পর্যটন ক্ষেত্র হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১৬০টি বিভিন্ন ধর্মের তীর্থক্ষেত্রকে দু’লক্ষ টাকা করে বার্ষিক অনুদান প্রদান করা হবে। এছাড়া পরিকাঠামো উন্নয়ন এর জন্য তালিকাভুক্ত তীর্থস্থান গুলোতে প্রাথমিক কিস্তি হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সড়কের উন্নয়নের জন্য সবমিলিয়ে ৬১৪ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে রাজ্যের বিভিন্ন ভাষাভাষী ও ধর্মাবলম্বী লোকেরা একসঙ্গে মিলে আসামকে দেশের মধ্যে শক্তিশালী রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলবেন। তাছাড়া বর্তমান সময়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ইত্যাদি দূরে সরিয়ে দিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

রাজ্যের মন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, রাজ্যের ১০০ বছর পুরানো আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রকল্প অনুযায়ী তালিকাভুক্ত প্রতিটি ধর্মীয় স্থানকে 10 লক্ষ টাকার অনুমোদন আসাম সরকার প্রদান করবে। এর মধ্যে যেসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে ব্যবহারিক প্রমাণপত্র দিতে পারবে, তাদের বর্তমান অর্থবর্ষে এর মধ্যেই অতিরিক্ত আরও ১৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। এ দিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের জল সম্পদ মন্ত্রী কেশব মহন্ত, নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা, রাজস্ব বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জগন মোহন, সরভোগ বিধানসভা কেন্দ্র তথা হাউসফেডের অধ্যক্ষ রঞ্জিত কুমার দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker