Barak UpdatesHappenings

মানস সিনহাকে বাঁচানো গেল না, শোক শিল্পী-সমাজকর্মী মহলে

১২ ফেব্রুয়ারি: ভাস্কর, সেট ডিজাইনার, চারুকলা শিল্পী মানসকুমার সিনহা আর নেই৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলচরের চেংকুড়ি রোডে লরি-অটোরিক্সা সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছিলেন মানসবাবু৷ তিনি ওই অটোর যাত্রী ছিলেন৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের পরামর্শে সন্ধ্যায় তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ শিলঙে পৌঁছাতেই অবস্থার চরম অবনতি ঘটে৷ দ্রুত নেওয়া হয় শিলঙ সিভিল হাসপাতালে৷ সেখানকার ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ তখন রাত সাড়ে ১২টা৷ শুক্রবার ভোর ছয়টায় তাঁর দেহ শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ফিরিয়ে আনা হয়৷ ময়না তদন্তের পর তুলে দেওয়া হবে পরিজনদের হাতে৷

মানসবাবু শয্যাশায়ী মা ও স্ত্রীকে নিয়ে ভকতপুরে ভাড়া থাকলেও তাঁর মূল বাড়ি হাইলাকান্দি জেলার সুদর্শনপুর এলাকার সোনাপুরে৷ সেখানেই তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে৷

মানসকুমার সিনহা ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র৷ তাঁর মৃত্যুতে চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-ছাত্রদের মধ্যে শোক পরিলক্ষিত হয়৷ শিল্পী হিসাবে এরই মধ্যে নিজের দক্ষতার পরিচিতি ভালভাবেই তুলে ধরেছিলেন৷ এই অঞ্চলের শিল্পীরা দুর্ঘটনার খবরেই মুষড়ে পড়েছিলেন৷ মৃত্যুসংবাদ তাঁদের বিরাট শোকাহত করে৷ আর্টিস্ট গিল্ডের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় এক প্রতিভাবান শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করা হয়৷ তাঁরা ৪৮ বছর বয়সী মানসবাবুর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ দাবি করেন৷ বলেন, এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়, তবু তাঁর মা ও স্ত্রীর আজীবন ভরণপোষণের ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷

মানসবাবু ছিলেন এনজিও সক্ষমের যুগ্ম সম্পাদকও৷ তাঁর স্মৃতিচারণ করে সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা মিঠুন রায় বলেন, সমাজের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল৷ বিশেষ করে, দিব্যাঙ্গদের নিয়ে তাঁর বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল৷ তিনি দিব্যাঙ্গদের মূর্তি বানানো শেখাতেন৷ সোনাইয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি নির্মাণেও তিনি দুই দিব্যাঙ্গকে সঙ্গে রেখেছিলেন৷

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker