Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বহিরাগত-বাংলাদেশি? ধলাইয়ের ভোটাররা জবাব দিয়েছেন, প্রতিক্রিয়া নীহারের
ওয়েটুবরাক, ২৩ নভেম্বরঃ বিধানসভা ভোটের প্রচারে তাঁর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ ছিল, তিনি বহিরাগত, তিনি বাংলাদেশি। প্রথমে দলের জেলা সহসভাপতি অমিয়কান্তি দাস টিকিটবঞ্চিত হয়ে এই অভিযোগ করলে কংগ্রেস একে লুফে নেয়। এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিংহ পর্যন্ত নীহাররঞ্জনকে বাংলাদেশি বলে অভিযুক্ত করেছিলেন।
শনিবার বারবেলায় গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়েই নবনির্বাচিত নীহাররঞ্জন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাংলাদেশি-বহিরাগত সব অভিযোগের জবাব দিয়েছেন ধলাইর ভোটাররা। তিনি এ নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাননি। সময় কম হলেও এই সময়ের মধ্যে ধলাইর কতটা উন্নয়ন করা যায়, সেটাই তাঁর এখন একমাত্র ভাবনা বলে জানান তিনি। প্রাথমিক ভাবে তিনি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে এখানে কোনও শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা যায় কিনা। রাস্তাঘাট নির্মাণেও তিনি গুরুত্ব দেবেন। সঙ্গে চিড়িয়াখানার কাজটিও শেষ করতে চান।
কিন্তু ব্যবধানটা কমল কেন? এই প্রশ্ন আজ বিজেপির সকল নেতাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। নীহাররঞ্জনের কথায়, ভোট কম পড়েছে বলে ব্যবধান কমেছে। লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রায় বলেন, এ নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব।
তবে দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি রাজেশ দাস ফলাফল বিশ্লেষণ করে বললেন, বুথ ভিত্তিক গণনায় চোখ রাখলে বোঝা যায়, আমরা এ বার পাটনি সম্প্রদায়ের ভোট কম পেয়েছি। দ্বিতীয়ত, পরিমল শুক্লবৈদ্য যে সামান্য কিছু মুসলমান ভোট পেতেন, এ বার তাদের ভোটটাও আমরা হারিয়েছি। ধলাইর এ বারের কম ভোটকে পরিমল শুক্লবৈদ্যর কাজকর্মের প্রতিফলন বলে মানতে নারাজ রাজেশ। তাঁর কথায়, একে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ভোট বলা যায় না।