কবিপক্ষ ও ঊনিশ স্মরণে ১৩ মে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠান ‘সৃষ্টি’র

ওয়ে টু বরাক, ৭ মে ঃ দু’বছরেরও অধিককাল স্তিমিত থাকার পর এ বার ফের স্বমহিমায় অনুষ্ঠান উদযাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে ‘সমন্বিত সংস্কৃতি চর্চা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ সৃষ্টি। এ বার কবিপক্ষ ও অমর উনিশে স্মরণের কথা মনে রেখে সৃষ্টি আবার নিজের একাধিক অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হচ্ছে। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আবার দেখা’। কবিপক্ষে রবীন্দ্র-নজরুল ও একষট্টির রক্তঝরা মহান উনিশে মে উদযাপনের ডালি দিয়ে সাজানো হয়েছে এ বারের আয়োজন।

এ প্রসঙ্গে সৃষ্টির নিজস্ব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষা মৌমিতা বিশ্বাস বলেন,’করোনা অতিমারিতে আমরা অনেক পরিচিত ও প্রিয়জনকে হারিয়েছি। সেই স্বজন হারানোর ক্ষত না শুকোতেই শিলচর সহ এ উপত্যকায় হানা দেয় প্রলয়ঙ্করী বন্যা। পরপর দু’দুটি বিপর্যয় মানুষকে সৃজনশীলতা থেকে ছিটকে দেয়। কিন্তু সৃষ্টি তো আর থেমে থাকতে পারে না। দুর্যোগ কাটিয়ে এবার সৃষ্টিও এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।‘

মৌমিতা ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পিনাকী দাস অনুষ্ঠানের সূচি তুলে ধরেন। সংস্থার সাংস্কৃতিক সম্পাদক নৃত্যশিল্পী পান্না পাল ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহাশ্বেতা দেব চৌধুরী জানান, সৃষ্টির বিভিন্ন শাখা এ বার নানা স্বাদের পরিবেশনা দর্শকের দরবারে পেশ করবে। এরমধ্যে রয়েছে সৃষ্টি-কুঁড়ির উপস্থাপনায় খেলাঘর, সৃষ্টি-শ্রী পরিবেশিত উনিশে মে-র ওপর অনুষ্ঠান দুঃখিনী বর্ণমালা, সৃষ্টি-ধী-র নিবেদন, সৃষ্টি-কলাপের রবিরসে প্রেম, সৃষ্টি-লয়ের ঋতুরঙ ও সৃষ্টি-কথার মুক্তি।

তাছাড়া সৃষ্টি সমন্বিত সংস্কৃতি চর্চা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অর্থাৎ সব সৃষ্টির মিলিত পরিবেশনায় বিচিত্রানুষ্ঠান। থাকছে সৃষ্টির নিজস্ব নাট্য প্রযোজনা রবিঠাকুরের ‘রোগের চিকিৎসা’ ও কাজি নজরুলের ‘কাবেরী তীরে’ নাটক দুটি। শিলচর বঙ্গভবনে আগামী ১৩ মে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হবে এই অনুষ্ঠান। প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করবেন শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের সম্পাদক স্বামী গণধীশানন্দজি মহারাজ। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৈশালী মিত্র ও সংস্থার প্রায় সব শিল্পী-শিক্ষার্থী।