Barak Updates
চিকিৎসক মারধর: কঠোর শাস্তির দাবি এন এইচ এম এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের
ওয়েটুবরাক, ৮ ফেব্রুয়ারি: কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির কঠোর শাস্তি দাবি করল কাছাড় জেলা এনএইচএম -এর এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (এনইএ)। এক বিবৃতিতে ইউনিয়ন সভাপতি ইকবাল বাহার লস্কর, কার্যকরী সভানেত্রী নিবেদিতা সিংহ, সাধারণ সচিব হিমেন্দুশেখর নাথ, এমপ্লোয়িজ ইউনিয়নের রাজ্য সহ-সভাপতি মুফিদুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা জড়িত দুষ্কৃতির কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার কাছাড় জেলার জালালপুর খন্ড প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোহিত দাগাকে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে বিনা কারণেই লাথি, চড় মারতে শুরু করে দুষ্কৃতির একটি দল। সুধীর দাস নামের এক দুস্কৃতি এর নেতৃত্ব দেয়। প্রত্যন্ত এই এলাকার সাধারণ জন মানুষের জন্য জরুরিকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে রাতে হাসপাতাল চত্বরেই থাকেন চিকিৎসক রোহিত। কিন্তু এর মধ্যেও চিকিৎসকের মত একজন মহান পেশাদারীকে এমন নির্লজ্জভাবে অপমান ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করার ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রসঙ্গত, অতীতেও এই হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন এই হাসপাতালে রাতে পরিষেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু রোহিত দাগা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হাসপাতালে অবস্থান করায় তাঁর সহকর্মীরাও উৎসাহিত হয়ে এখানে রাতে অবস্থান করেন। তবুও ফের একবার এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়াতে বিভাগীয় কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অবশ্য বিষয়টি জেলা প্রশাসনের গোঁচরে আসতেই ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ মূল অভিযুক্তকে করায়ত্ত করতে সক্ষম হয় এবং জেলে পুরে নেয়। পুলিশের এই বলিষ্ঠ ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে এনইএ-র কর্মকর্তারা বলেন, পুলিশ যেন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান দেয়। যাতে করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর সংঘটিত না হওয়ার জন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি হয়। এদিকে, ঘটনার পরপরই চিকিৎসকদের অন্যতম সংগঠন ‘আমসা’ জোরালোভাবে প্রতিবাদ করার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসা কর্মীরা নিজেদের কর্মস্থলে কাজ করার সাহস পান বলে মনে করেন এন এইচ এম এমপ্লোয়িজ ইউনিয়ন সভাপতি ইকবাল বাহার লস্কর সহ অন্যান্যরা। একই প্রতিবাদে অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে শিলচর জেলা কর্মচারী পরিষদ সামিল হওয়াতে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছে এনইএ।