Barak UpdatesHappeningsBreaking News

চার মাস আগেই প্রসূতির পেট কেটে ফেললেন চিকিৎসক, করিমগঞ্জে ক্ষোভ

ওয়েটুবরাক, ১ সেপ্টেম্বর : ডেলিভারি হওয়ার কথা আগামী ডিসেম্বর মাসে৷ কিন্তু করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক একে বিশ্বাস চার মাস আগেই প্রসূতির পেট কেটে ফেললেন৷ শিশুটি  পূর্ণতা লাভ করেনি দেখে আবার তাকে মাতৃগর্ভে  রেখে সেলাই করে দিলেন। এর দরুন এগারোদিন হাসপাতালে থাকতে হয় এমএমসি রোডের রাজা নমঃশূদ্রের স্ত্রী বেবি নমঃশূদ্রকে। এখন মা এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তায়৷

রাজা জানান, তাঁর স্ত্রীর কিছু সমস্যা হচ্ছিল বলে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যান৷ ডা. বিশ্বাস তাঁকে ভর্তি করিয়ে পরদিন ডেলিভারি রুমে নিয়ে যান৷ সেখানে গর্ভস্থ শিশুর অবস্থা দেখতে গিয়ে প্রসূতির পেট কেটে ফেলেন৷ বিষয়টি যে ভুল হয়ে গিয়েছে, তা বুঝতে পেরেই রাজাকে এ নিয়ে কাউকে কিছু না জানাতে বলে দেন৷ তিনিই নির্দিষ্ট সময়ে অপারেশন করে শিশুকে পৃথিবীতে আনবেন বলে তাঁকে জানান৷

এ নিয়ে বুধবার প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ বেবিকে সে দিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, তার অবস্থা সঙ্কটজনক৷ বিষয়টি তারা বিভিন্ন জনকে জানান৷ খবর পেয়ে হাসপাতাল গেটে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন হিন্দু রক্ষী দলের সদস্যরা৷ তাদের সঙ্গে সামিল হন প্রচুর সাধারণ মানুষ৷ সকলের অভিযোগ, হাসপাতালটি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে৷ মানুষের কোনও মূল্যই নেই তাঁদের কাছে৷ প্রায়ই নানা অভিযোগ পাওয়া যায়৷

শেষে ডা. বিশ্বাস নিজের ভুল স্বীকার করেন৷ জানান, তিনি রোগীর ভালোর জন্যই দ্রুত ডেলিভারি করতে চেয়েছিলেন৷ পরে বুঝতে পারেন,  সিদ্ধান্তটি ভুল হয়েছে৷ হাসপাতালের সুপার ডা. লিপি দেব সিনহা বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আন্দোলনকারী এবং রোগীর পরিবারের সদস্যদের জানান৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker