Barak UpdatesHappeningsBreaking News
জায়গায় জায়গায় মৃতদেহ ভাসছে, ত্রাণ নিয়েও অভিযোগ
ওয়েটুবরাক, ২৫ জুন: কাছাড়ের বর্তমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আসাম সরকারের সাতজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক শিলচরে এসে কাছাড় জেলার পরিস্থিতি এবং ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন। জেলার ৪৬০টি গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত৷ এর মধ্যে কাটিগড়ায় ১৫৩টি, লক্ষীপুরের ৬০টি, শিলচরে ১৩০টি, সোনাইয়ে ৯০টি এবং উধারবন্দে ২৭টি গ্রাম৷ সেখানে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৯৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত৷ তাঁদের মধ্যে ১ লক্ষ ৭হাজার ৭৫১ জন পুরুষ, ৯৭ হাজার ২৩৬ জন মহিলা এবং ৭২ হাজার ৯০৮ জন শিশু। ২২৪টি ত্রাণ শিবিরে মোট ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮৬৮ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছেন৷
জেলায় বন্যার জলে ডুবে মৃত্যুর বেশ কিছু খবর পাওয়া গিয়েছে৷ সকালে চানমারি রোডে একজনের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়৷ ধলাইয়ে উদ্ধার হয় এক কিশোরের মৃতদেহ৷ সোনাইয়ে ভূমিধসে আজমল হুসেন নামে একজন মারা গিয়েছেন৷
ডিডিএমএ জানিয়েছে, জেলায় ৫৬টি মোটরচালিত নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে ৷ সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং এনডিআরএফ ৫৪৮৭ জনকে উদ্ধার করেছে৷ দুর্গত মানুষদের সকলের কাছে পৌঁছানো না গেলেও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার টানা ৩ দিন ধরে শিলচর শহরের বন্যা কবলিতদের বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করে। তবে অভিযোগ, উপর থেকে পড়ে ৭০ শতাংশ ত্রাণ সামগ্রীই ব্যবহারের যোগ্য থাকে না৷
ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেটে আকাশ থেকে যা ফেলা হয়, তা অতি সামান্য বলেই অভিযোগ করছেন দুর্গত এলাকার জনগণ৷ তাদের কথায়, এমনিতেই হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়ায় দুস্থদের অনেকে কিছুই পাচ্ছে না৷ যারা পাচ্ছেন, তাও মনপসন্দ নয়৷