Barak UpdatesHappeningsBreaking News
রাতেই বাড়ি ফিরলেন দত্তরায়
ওয়েটুবরাক, ৯ ডিসেম্বর : জামিনের কাগজপত্র তৈরি করতে আদালতের সময় পেরিয়ে যায়, তাই বুধবার রাতটা হাসপাতালেই কাটাতে হবে প্রদীপ দত্তরায়কে, জানিয়েছিলেন তাঁরই আইনজীবী সৌমেন চৌধুরী৷ তবে শেষপর্যন্ত ওই রাতটা আর দত্তরায়কে মেডিক্যাল কলেজের ক্যাবিনে থাকতে হয়নি৷ গ্রেফতার পর্বে যেমন তড়িঘড়ি জেলে পোরা হয়েছিল তাঁকে, অন্তর্বর্তী জামিনেও তিনি বুধবার রাতেই বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন৷ অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর হতেই আইনজীবীরা তাঁকে বাড়ি ফেরানোর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন৷ আদালত, জেল এবং শেষে হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়ে প্রাক্তন ছাত্রনেতা, প্রবীণ আইনজীবী, বিডিএফের মুখ্য আহ্বায়ক, রূপম সভাপতি প্রদীপ দত্তরায়ের বাড়ি ফিরতে রাত একটা বেজে যায়৷ অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পাওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের কোনও মন্তব্য বা বার্তা দিতে চাননি৷ হাত জোড় করেই বলেন, যা বলার স্বাভাবিক জামিনের পরই বলব৷ সে সময় পাশে ছিলেন তাঁর কন্যা, তরুণ আইনজীবী প্রথমা দত্তরায়৷
গত ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে পুলিশ দত্তরায়কে গ্রেফতার করেছিল৷ এক সপ্তাহ শিলচর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি থাকার পর তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়৷ কিন্তু সেখানে গত দুইদিনে আটজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ দত্তরায় বছর দেড়েক আগে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করায় কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়৷ তাঁর আইনজীবীরা বুধবার শিলচর জেলা বিচারকের কাছে তাঁর জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, এই অবস্থায় দত্তরায়ও সংক্রমিত হলে বাঁচানো মুশকিল হতে পারে৷ পরে জেলা বিচারক তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন৷
শিলচরের এক পেট্রল পাম্প চত্বরে অসমিয়া ভাষায় লেখা হোর্ডিং সরিয়ে নিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলে হিন্দু যুব পরিষদ দত্তরায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে৷ ২৭ নভেম্বর পুলিশ তাঁকে ডেকে গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেয়৷ সেদিন তাঁরা নিজে থেকেও তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে৷ তাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং এক সাংবাদিককে প্রাণে মারার অভিযোগ আনা হয়৷ সাংবাদিকরা অবশ্য একে ভুয়ো বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে৷ দ্বিতীয় মামলায় ১০ ডিসেম্বর এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৫ ডিসেম্বর কেস ডায়েরি তলব করা হয়েছে৷ মূল জামিনের আবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত তখনই হবে৷