Barak UpdatesHappeningsBreaking News
৪ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের, ভূমিপূজনে এসে মুখ্যমন্ত্রী
ওয়ে টু বরাক, ১ মার্চ ঃ জয় শ্রীরাম ধ্বনির মধ্যে বাংলায় কুশল বিনিময়, তার ওপর বহু দিনের প্রতীক্ষিত মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ কাজের ভূমিপূজন। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার হাত ধরে উন্নয়নের এক নতুন দিনের সাক্ষী হলো করিমগঞ্জ। মঞ্চে ভাষণরত মুখ্যমন্ত্রীকেও করিমগঞ্জবাসী পেয়েছেন অন্য মেজাজে, ঠিক যেন ঘরের মানুষ। আর সবার মন জয় করে মুখ্যমন্ত্রীও একের পর উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন তাঁর বক্তব্যে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রামকৃষ্ণনগরে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন নিয়ে একটা সময় অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। কিন্তু এ বার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। অতীত টেনে হিমন্ত বলেছেন, ১৯৬৮ সালে বরাক উপত্যকার শিলচরে প্রথম মেডিক্যাল কলেজ যাত্রা শুরু করেছিল। এরপর ৫৫ বছর চলে গিয়েছে। অনেক বার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। কিন্তু এই কাজ কেউ করেননি। এ বার ৬৭৮ কোটি টাকায় এখানে একটি মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে। এই নির্মাণ কাজ আগামী ৪ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এর টেন্ডার শেষ এবং শুক্রবার বিকেলে ক্যাবিনেট বৈঠকে এর বরাদ্দও হয়ে যাবে। এর কাজ ১ মাস বা ৪০ দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আগামী বছরে পাথারকান্দিতে আসাম এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির নতুন ক্যাম্পাস হবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বেশ কয়েকটি নতুন কাজের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করেন। বিশেষ করে আসামমালা প্রকল্পের অধীনে আয়নাখাল থেকে আছিমগঞ্জ পর্যন্ত ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সড়ক নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ৩০৩ কোটি টাকায় আরও নতুন নতুন কাজের কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
হিমন্ত এ দিন কংগ্রেসের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। বলেন, একসময়ে কংগ্রেস হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের কথা বলেছিল। কিন্তু সেই প্যাকেজের কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ এই একদিনেই তিনি প্রায় ২০০০ কোটি টাকার কাজের সূচনা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, করিমগঞ্জের সব রাজনৈতিক দলের নেতা বা বিধায়ক উন্নয়নের প্রশ্নে এক জায়গায় এসেছেন। এটি এক বড় প্রাপ্তি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামকৃষ্ণনগর আসতে না পারলেও গুয়াহাটি থেকে এই মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ফলে এই কলেজের কাজ এখন মোদি গ্যারান্টির আওতায় এসে যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বরাকের তিন জেলায় এখনও বহু কাজ করার বাকি। এলাকার উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও রাজনীতি না করে সবাই যদি বিজেপি প্রার্থীকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী করেন, তাহলে এখানে বিকাশের গঙ্গা বইবে বলে তিনি এ দিন প্রতিশ্রুতি দেন। এর পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, ২৬ সালের মধ্যে এখানকার মানুষ হাফলং দিয়ে গুয়াহাটি যেতে পারবেন। সেই কাজ এখন ১০০ শতাংশ গতিতে চলছে। এছাড়া সরকারি চাকরি এখন রাজ্যে দালাল-মুক্ত হয়েছে বলে এ দিন ফের একবার উল্লেখ করেন হিমন্ত। পাশাপাশি বলেন, ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ চাকরি হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই আরও ৩৫ হাজার চাকরি হবে। বক্তব্যের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী শনবিলের মাছ খাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন।