India & World UpdatesHappeningsBreaking News

সন্দেশখালিতে স্টিং অপারেশন, বিজেপি নেতা বললেন, সব সাজানো ছিল!

ওয়েটুবরাক, ৫ মে: ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ‘স্টিং অপারেশন’ ভিডিয়োয় এক বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, গত কয়েক মাসে সন্দেশখালিতে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগগুলি ‘সাজানো’ ছিল! টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন মহিলারা। তাঁর দাবি, সবটাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘মস্তিষ্কপ্রসূত’৷

শাসকদলের দাবি, ওই ভিডিয়োর মাধ্যমেই সন্দেশখালিতে বিজেপির ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিজেপি সন্দেশখালি নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ করে পশ্চিমবঙ্গকে কালিমালিপ্ত করেছে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘বিজেপির মনে বাংলা-বিরোধী মনোভাব আর বাংলার প্রতি ঘৃণা কতটা গভীর, তা এই ষড়যন্ত্রে স্পষ্ট। ভারতের ইতিহাসে আগে কখনও দিল্লির শাসকদল এ ভাবে আমাদের রাজ্যকে অসম্মানিত করার চেষ্টা করেনি। কিন্তু এর পর বাংলা এর জবাব দিতে যে ভাবে জাগবে, তা ইতিহাস তৈরি করবে।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির যে কেন্দ্রীয় নেতারা লাগাতার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে বাংলার ‘বদনাম’ করেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে।

বিজেপি ভিডিয়োটিকে ‘ভুয়ো’ এবং ‘বিকৃত’ বলে দাবি করেছে। সিবিআই তদন্তও চেয়েছে তারা। ভিডিয়োয় যে বিজেপি নেতার দাবি নিয়ে এত শোরগোল, সেই গঙ্গাধর কয়ালও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুভেন্দুর দাবি, এই ভিডিয়োর নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘পুরো বিষয়টা নিয়ে অনেক দূর যাব। কয়লা ভাইপোকে জেলে পু়রব।’’

প্রকাশ্যে আসা স্টিং অপারেশনের ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, গঙ্গাধর সন্দেশখালি-২ ব্লকে বিজেপির ‘মণ্ডল সভাপতি’। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য তা মানতে রাজি নন। পদ্মের রাজ্য নেতারাও এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, গঙ্গাধর একটি ঘরে চেয়ারে বসে আছেন। কেউ বা কারা তাঁকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করে চলেছেন। আড্ডার ছলে প্রশ্নকর্তাকে জবাব দিচ্ছেন গঙ্গাধর। সেই কথোপকথনে বার বার উঠে এসেছে শুভেন্দুর নাম। গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই আন্দোলন (সন্দেশখালির আন্দোলন) এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক-ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টা পরিচালনা করছে। শুভেন্দুদার আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দুদা এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ ভিডিয়োয় গঙ্গাধরের ‘স্বীকারোক্তি’, ‘‘শুভেন্দুদা টাকা আর মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়েছেন। কারণ, এই ধরনের কাজ খালি হাতে হয় না।’’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker