NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
রেশন নেই, স্বাস্থ্যসেবা নেই, রাহুলকে বললেন আশ্রিতরা
ওয়েটুবরাক, ৮ জুলাইঃ সেই সাদা টি শার্ট, কালো প্যান্ট। সঙ্গে কেসি বেণুগোপাল ও ভূপেন বরা। গাড়ি থেকে নেমেই সকলের উদ্দেশে হাসিমুখে হাতজোড় করে নমস্কার বলে লক্ষীপুর মহকুমার থাইলু ইন ইয়ুথ কেয়ার সেন্টারের ভেতরে ঢুকে গেলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। মারকুলিনের ওই সেন্টারেই একমাসের বেশি সময় ধরে আশ্রয় নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য মণিপুরের জিরিবাম জেলার বহু জনজাতি পরিবার। আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তিনি কথা বললেন দুর্গতদের সঙ্গে। ততক্ষণ গেটের বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন শত শত জনতা। মুহুর্মুহু জয়ধ্বনি দিলেন রাহুল গান্ধীর নামে। জমজমিয়ে বৃষ্টি নামে, তাতেও টলেননি জনতা। কেউ ছাতা মাথায়, অধিকাংশ কাকভেজা হয়েই অপেক্ষা করতে থাকেন কখন তিনি বেরিয়ে আসবেন। কোনও বক্তৃতা বা মত বিনিময়ের সুযোগ নেই, তা জেনেও জনতা দাঁড়িয়ে থাকেন শুধু একটিবার দেখার জন্য। ফেরার সময় অবশ্য বৃষ্টির দরুন তিনি আর ইতিউতি করেননি, গেট থেকে বেরিয়ে সোজা ঢুকে পড়েন গাড়িতে।
তবে যাদের উদ্দেশে রাহুলের লক্ষীপুর সফর, সেই আশ্রিত জনগণ প্রাণ খুলেই কথা বলেন। তাঁরা জানান, আশেপাশের জনজাতি গ্রামগুলি দাউদাউ করে জ্বলছে। তখন আর তাঁরা থাকার সাহস পেলেন না। শিশু-বৃদ্ধ সবাইকে নিয়ে চলে আসেন অসমের কাছাড়ে। এখানে তাঁরা থাকার জায়গা পেলেও সরকারি রেশন দেওয়া হচ্ছে না, নেই ওষুধপত্রও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভূপেন বরাকে নির্দেশ দেন, দলের তরফে যাতে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্যসেবাও নিশ্চিত করতে বলেন।
আর কী চান আপনারা। বাড়ি ফিরতে চান। তাঁরা বলেন, এই অবস্থায় বাড়ি ফিরলে প্রাণে বাঁচব না। তাই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত তাঁরা কেউ আর মণিপুরে ফিরতে চান না বলেই জানালেন কংগ্রেস নেতাকে।