NE UpdatesHappenings
মৃত্যুর সিন্ডিকেট চালাতেই করোনা নিয়ে সমালোচনা, অভিযোগ হিমন্তের
22 জুলাইঃ করোনা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। কেউ টাকা লোপাটের অভিযোগ করছেন। কেউ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা আর হচ্ছে কোথায়! করোনায় আক্রান্ত কোনও একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখলেই একে ভাইরাল করা হচ্ছে।
এই সবকিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভোটের দিকে চোখ রেখে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর কথায়, এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গোটা বিরোধিতা হচ্ছে। ওই সিন্ডিকেটকে তিনি ডেথ সিন্ডিকেট বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এরা আসলে মানুষের মৃত্যু চায়। হাজারে হাজারে মানুষ মারা গেলেই তাদের শান্তি। তখন অভিযোগ করতে পারবে, সরকার করোনা সামলাতে পারেনি। ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলে সরকার বদলের আওয়াজ দেবে। হিমন্তের বিরক্তিভরা বক্তব্য, তাই তাদের কাছে মানুষ মরলেই লাভ। এরা এখন চাইছে, ডাক্তার সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবলে আঘাত হানতে। তাই একের পর এক অভিযোগ আনছে। কোথাও সমালোচনামূলক মন্তব্য পেলে টাকা দিয়ে একে ভাইরাল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হিমন্ত্।
পাশাপাশি দাবি করেন, ওই ডেথ সিন্ডিকেট তাঁর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ তাঁরা মানুষের মৃত্যু কামনা করেন, আর হিমন্ত মানুষ কীভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারেন, সে জন্য টিম করে কাজ করছেন। তিনি বলেন, এই সময়ে যারা রাজনীতির পাশা খেলছেন, মা-দিদিমারা নামঘরে বসে তাদের শাস্তির বিধান দেবেন। দ্বিতীয়ত, এ বার তাঁর নিজের প্রচারের প্রয়োজন পড়ব না। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষগুলিই গ্রামে গ্রামে তাঁর হয়ে কথা বলবেন।
অসমিয়াদের বঞ্চিত করে বর্তমান সরকার মারোয়াড়ি, জৈনদের পকেট ভারি করছে বলে সমালোচনারও তিনি মোক্ষম জবাব দেন। বলেন, এই সময়ে যারা মারোয়াড়ি-অসমিয়া বলে প্রশ্ন তোলেন, হিন্দু-মুসলমানের হিসাব কষেন, তারা মানবিকতা বলে কিছু নেই। তিনি জানান, প্লাজমা ব্যাঙ্কে এই সময়ে দান করে গেলেন, তাঁদের মধ্যে মারোয়াড়ি য়েমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন কয়েকজন বাঙালিও। এঁদের মধ্যে যেমন হিন্দু রয়েছেন, তেমনি আছেন মুসলমানরাও। ফলে করোনা যুদ্ধে তিনি নিজেকে সমস্ত ধরনের বিভেদের চরম বিরোধী বলেই উল্লেখ করেন।