Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায় কাজিরাঙার নানা সাফল্যের কাহিনি শোনালেন পেরিস্বামী শিবকুমার
ওয়েটুবরাক, ৩১ মে : কাছাড়ে চিড়িয়াখানা চালু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ যাবতীয় পরিকাঠামো এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ এর ঠিক আগে বিখ্যাত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান গড়ে ওঠার ইতিহাস জানার জন্য ‘সিদ্ধার্থ সেন স্মারক বক্তৃতা’র আয়োজন করে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ। দক্ষিণ আসাম প্রান্তের মুখ্য বন সংরক্ষক পেরিস্বামী শিবকুমার ‘কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকা– একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক বক্তৃতা করেন৷ কাজিরাঙা সৃষ্টির ইতিহাস থেকে শুরু করে এর ধাপে ধাপে উন্নয়নের বিবরণ বিশদ ভাবে ব্যাখ্যা করেন এই বরিষ্ঠ আইএফএস আধিকারিক।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তু ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের একনিষ্ঠ কর্মী প্রয়াত সিদ্ধার্থ সেনের স্মরণে আয়োজিত হয় এই আলোচনা সভা৷ শুরুতে প্রয়াত সহকর্মীর জীবনের বিভিন্ন দিক তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রয়াত সেনের সক্রিয় অবদানের কথা বিভিন্ন বক্তাদের কথায় উঠে আসে। বিভাগীয় ডিন অধ্যাপক পার্থঙ্কর চৌধুরীর প্রারম্ভিক ভাষণের পর ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধক ড. জয়ন্ত ভট্টাচার্য, ভারপ্রাপ্ত বিত্ত আধিকারিক ড. শুভদীপ ধর, বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অজিত কুমার দাস, অধ্যাপক শর্বাণী গিরি, ড. পান্না দেব, ড. অরুন জ্যোতি নাথ, ড. শোভন দত্তগুপ্ত, সাগ্নিক চৌধুরী প্রমুখ প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন।
অবশ্য অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল আমন্ত্রিত বক্তার ভাষণ। কাজিরাঙার দায়িত্বে থাকাকালে পেরিস্বামী শিবকুমার চোরাশিকারিদের হাত থেকে গণ্ডারগুলোকে বাঁচানোর জন্য যে বিভিন্ন কূটকৌশল প্রয়োগ করতেন, তার বিশদ ব্যাখ্যা করেন৷ জানান, এরই ফলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গণ্ডারনিধন প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি দায়িত্বে থাকাকালে কাজিরাঙার পার্শ্ববর্তী অনেকগুলো এলাকাকে বেদখল মুক্ত করে মূল কাজিরাঙা উদ্যানের সঙ্গে যুক্ত করার দীর্ঘ আইনি সংগ্রাম যে সফল হয়েছে, তারও বিস্তৃত বিবরণ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে। বক্তৃতা শেষে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। প্রসঙ্গক্রমে নির্মীয়মান কাছাড় চিড়িয়াখানার কথাও উঠে আসে৷
অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সুপ্রবীর দত্তরায় এবং কাছাড় জেলার ডিএফও তেজস মরিস্বামীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, গবেষক-গবেষিকা, ছাত্র-ছাত্রী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। বিভাগের গবেষক ড. পান্না নাথের ধন্যবাদসূচক বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের গবেষিকা প্রিয়াঙ্কা সরকার।