Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
বাংলাদেশের নৌবন্দর ব্যবহার করে কলকাতা থেকে পণ্য আসছে শিলচরে
ত্রিপুরা হয়ে রওয়ানা ৬২২৫ কেজি প্রিফোম
ওয়েটুবরাক, ১৮ আগস্ট: বাংলাদেশের মংলা নৌবন্দর ব্যবহার করে শিলচরের কোম্পানির জন্য সামগ্রী এলো কলকাতা থেকে৷ আর এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় পণ্য আনা শুরু হলো। পরীক্ষামূলক ভাবে হলেও সাফল্যের সঙ্গেই মংলা থেকে শিলচরের পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকল ত্রিপুরার শ্রীমন্তপুর ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে৷
সেখানে একে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়৷ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভৌমিক ছাড়াও ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, চট্টগ্রামস্থিত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন এবং আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহম্মদ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমা ভৌমিক জানান, আপাতত পরীক্ষামূলক হলেও আগামীদিনে শ্রীমন্তপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ব্যবহার করে শুধু ত্রিপুরা বা শিলচর নয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে পণ্যসামগ্রী পৌঁছে যাবে। এতে করে ত্রিপুরার তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ঐতিহাসিক সম্ভাবনাময় একটি দিক উন্মোচন হল।
মঙ্গলবার একটি কন্টেইনার-লরি ২৪৯ প্যাকেজে ৬২২৫ কেজি প্রিফোম নিয়ে ত্রিপুরায় আসে। গন্তব্য শিলচর এনআইটির কাছে যোগীপাড়া স্থিত ডিডিএস ইন্ডাস্ট্রিজ৷ পানীয় জল বোতলজাত করার এই কোম্পানি প্রিফোম থেকে বোতল তৈরি করবে৷ ১৩.৩ গ্রামের প্রিফোম রয়েছে ১৬৯ প্যাকেজ৷ ২০ গ্রামের ৮০ প্যাকেজ৷ অর্থাৎ ক্রমে ৪২২৫ কেজি ও ২০০০ কেজি৷ গত ২৩ জুলাই এর অর্ডার দেওয়া হয়েছিল কলকাতার ম্যাগপেট পলিমারস প্রাইভেট লিমিটেডকে৷ এর পরই ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে প্রিফোম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার দিকে কাজ করছে। এর ফলে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা বাড়বে এবং রোজগার সৃষ্টি হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করার জন্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। প্রথমবার পরিবহন হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। তখন কলকাতা বন্দর থেকে ত্রিপুরার জন্যে পণ্য নিয়ে আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। এর পরে করোনা প্রকোপের দরুন আর কোনও পণ্য আনা হয়নি৷ এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে চারটি রুটে পণ্য পরিবহনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আপাতত দুটি স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ। ফলে মংলাবন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে পণ্য পরিবহন শুরু করেছে কলকাতা বন্দর। পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতা থেকে বাংলাদেশি ‘এমভি রিশাদ রায়হান’ কার্গো পণ্য বোঝাই দুটি কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে। গত ১০ অগস্ট একটি কনটেইনার ১৭ মেট্রিক টন লোহার পাইপ নিয়ে মংলা বন্দর থেকে বাংলাদেশের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে মেঘালয়ের ডাউকিতে পৌঁছায়। অপরটি কলকাতা বন্দর থেকে মংলা হয়ে বিবিরবাজার দিয়ে ত্রিপুরার শ্রীমন্তপুরে পৌঁছায়। এখন ওই প্রিফোম সড়কপথে শিলচরের উদ্দেশে রওয়ানা হচ্ছে ৷