Barak UpdatesHappeningsBreaking News

‘আর্য’ গৌতম ভট্টাচার্যের জীবনাবসান

ওয়েটুবরাক, ২৯ এপ্রিল : আর্য্য সংস্কৃতি বোধনী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, মুখ্য সংযোজক গৌতম ভট্টাচার্য আর নেই৷ গত ১১ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটেছিল৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কিছুদিন চিকিৎসার পর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে৷ সেখানেই  বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ বয়স হয়েছিল ৬০ বছর৷ তিনি রেখে গিয়েছেন স্ত্রী, বৌদি, ভ্রাতুষ্পুত্রী সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধদের‌৷ তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সকালে শিলচরে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ মুখে মুখে এক মন্তব্য, এ অবিশ্বাস্য, এই কথা মানা যায় না৷ তাঁর দেহ শিলচরে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে৷ গত ২ জানুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন তাঁর দাদা৷ মাত্র চার মাসের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের জীবনদীপ নির্বাপিত হল৷ খুবই অন্তরঙ্গ ছিলেন দুই সহোদর৷

আর্য সংস্কৃতি বোধনী সমিতির কর্মকর্তা অরিন্দম চক্রবর্তী লিখেছেন, “আর্য সংস্কৃতির দীর্ঘদিনের পথচলা যার হাতে, সেই ব্যক্তি আজ আমাদের মধ্যে নেই। আজ আমরা একটি বটবৃক্ষকে হারালাম যার ছত্রছায়ায় অগণিত ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবায় নিয়োজিত হয়েছিলেন।সমস্তটা জীবন তিনি নিজের থেকেও বেশি এই সংস্থার কথা ভেবে গিয়েছেন। তাঁর একটি কথা এখন আমাদের প্রত্যেকের কানে বাজছে, “সব ঈশ্বরের ইচ্ছা, উনি আমাদের দিয়ে যতদিন খেলাবেন ততদিনই আমরা খেলব, আর যখন ইচ্ছা হবে আমাদের তুলে নেবেন।” তবুও বলব, তুমি আমাদের মধ্যে থাকবে তুমি আমাদের শক্তিরূপে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনন্ত পথ।

সাংবাদিক চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “একজন প্রকৃত সমাজসেবী, অত্যন্ত ভালো মানুষ চলে গেলেন। কী তার কণ্ঠস্বর! কী গলা! আর্য সংস্কৃতি বোধিনী সমিতির মাধ্যমে তিনি এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন শিলচরে ।”

সংস্কৃতিকর্মী দেবাশিস চন্দ লিখেছেন, “এত অমায়িক, নীরব ও কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তিত্ব খুব কম দেখেছি।”

মণিভূষণ চৌধুরীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, “গৌতমদার সম্মান, আজীবন আমাদের বুকে গাথা থাকবে। তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে ছিলেন, যেন এক গৃহী সন্ন্যাসী এত বিনয়ী, এত আন্তরিক ব‌্যক্তিত্ব আমার জীবনে কম দেখেছি।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker