‘আমাদের পাশে দাঁড়ান’, মুখ্যমন্ত্রীকে গণ পোস্টকার্ড পাঠালেন ত্রিপুরার চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা

২৬ মে : ত্রিপুরার চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গণ পোস্টকার্ড পাঠালেন। রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পোস্ট অফিসে ওইসব পোস্টকার্ড পাঠানো হয়েছে। এতে তাঁরা লিখেছেন, ‘অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের পাশে দাঁড়ান।’

ত্রিপুরায় চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। করোনা-র সংক্রমণে তাঁরা আন্দোলনে শামিল হতে পারছেন না। প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এই পোস্টকার্ড পাঠানোর আগে রবিবার চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা নিজ নিজ এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার চাকরিচ্যুতরা পোস্টকার্ডে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে দাবি রেখেছেন তাঁরা।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে এক শিক্ষক বলেন, চাকরিচ্যুত প্রতিটি পরিবার অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অনেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিত্‍সার অভাবে ভুগছেন। সরকার অবিলম্বে তাঁদের পাশে না দাঁড়ালে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে বাধ্য হবেন। গত ৩১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ১০৩২৩ শিক্ষক-কর্মচারী চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এরই মধ্যে করোনা-র সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য নির্দেশ জারি করেছে সরকার। স্বাভাবিকভাবেই, চাকরিচ্যুত হয়েও ওই শিক্ষকরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হওয়ার কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না।

এ দিকে, ত্রিপুরা সরকার চাকরিচ্যুতদের বিভিন্ন পদে পুনঃনিযুক্তির জন্য ইতিমধ্যেই সুপ্রিমকোর্টের কাছে একটি আবেদন জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে অনুমতি পেলেই রাজ্য সরকার তাদের চাকরিতে নিয়োগ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুরো প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ও বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এই শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েই চলেছে।