Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শুভ বিজয়া : চারদিকে এক আওয়াজ, ‘আসছে বছর আবার হবে’
ওয়েটুবরাক, ১৫ অক্টোবর : মা থাকবে কতক্ষণ, মা যাবে বিসর্জন। পুজো, পুজো, পুজো। পুজো শেষ। এ বার বিদায়ের পালা। বাপের ঘর অন্ধকার করে ছেলেমেয়ে নিয়ে উমা ফিরছেন পতিগৃহে। তারপর বছরভর অপেক্ষা। বাঙালি ফিরবে নিজের জীবনে। আর পাঁচটা আমদিনের মত সুখেদুঃখে কাটবে সময়। তার আগে অবশ্য বিজয়ার বিদায়বেলায় অন্য এক খুশির আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালি। ঘাটে ঘাটে চলে ভাসান। নাচের তালে হইহই করে সবাই চেঁচিয়ে ওঠেন ‘আসছে বছর আবার হবে।’
বিজয়া দশমীর সকালে সিঁদুর খেলার পরই শুরু বিসর্জনের তোড়জোড়। বাড়ির পুজোগুলোর বিসর্জন হয়ে যায় দুপুরের মধ্যেই। পরিবারের লোকজন আসেন বিসর্জনে। এখানে কোথাও আড়ম্বর চোখে পড়ে না। মাইকের দাপাদাপিও নেই। অনেক পরিবার নিজস্ব কিছু রীতি মেনে প্রতিমা বিসর্জন করেন। বিকেল যত গড়াতে থাকে ততই শিলচর শহরের সদরঘাটে জমতে থাকে বারোয়ারি পুজোর ভিড়।
বিজয়া মানেই প্রণাম, বিজয়া মানেই আশীর্বাদ, বিজয়া মানেই মিষ্টি মুখ, বিজয়া মানেই কোলাকুলি। বাঙালি যতই বদলে যাওয়া বিশ্বের সঙ্গে পা মেলাক না কেন, এই রীতিগুলো তাদের আজও নাড়া দেয়। আনন্দ দেয়। ভাল লাগে। আসলে এটা একটা আবেগ, নস্টালজিয়া। নইলে ইংল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকায় বসেও বাঙালি চুটিয়ে পদ্ম ফুল সাজিয়ে, বিশুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণে দুর্গাপুজো করে!
সবশেষে মণ্ডপে গিয়ে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে মাথায় শান্তির জল নিয়ে শেষ হয় দুর্গোতসবের। আর সঙ্গে আগামী বছরের অধীর অপেক্ষা।