Barak Updates

১৬৭০ কোটি দরে যুদ্ধবিমান ! কাটমানি কত, জানতে চান দাশমুন্সি

এক যুদ্ধবিমানের দাম ৫২৬ কোটি টাকা। কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল রাফায়েল কোম্পানির সঙ্গে। কিন্তু বিমান সরবরাহ শুরু হওয়ার আগেই মনমোহন সিংহ সরকারের পতন ঘটে। এখন সেই বিমান কেনা হচ্ছে ১৬৭০ কোটি টাকা দরে। বছর পাঁচেকে কত শতাংশ বেড়ে গেল, সেই প্রশ্ন তুলে এআইসিসি প্রতিনিধি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি এও জানতে চান, জনগণের কোটি কোটি টাকা কার পকেটে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রিলায়েন্স কর্তা অনিল আম্বানির মধ্যে গোপন বোঝাপড়ার ফলেই রাফায়েলের দর এতটা বেড়ে গিয়েছে বলেই অভিযোগ দীপার। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আগে কথা হয়েছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমি়টেড রাফায়েলের বিমানের মেরামতি সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখবে। কিন্তু মোদি আম্বানির সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি করেছেন। দেশের প্রতিরক্ষা-গোপনীয়তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে যুদ্ধবিমানর নিয়মিত দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নবগঠিত রিলায়েন্স ডিফেন্স লিমিটেডকে। নতুন এই কোম্পানি খোলার জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার।

লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস রাফায়েল বিতর্ককে সামনে রেখে বিজেপি-কে চেপে ধরতে চাইছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুধু এই ইস্যুতে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এআইসিসি থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা এক ইস্যুতে কর্মীসভাও করছেন। শুক্রবার শিলচরের সাংসদ, মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুস্মিতা দেব আগরতলায় গিয়েছিলেন। শনিবার শিলচরে এলেন দীপা দাশমুন্সি। সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুণ বরা ও বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া। সুস্মিতা দেবও আগরতলা থেকে ফিরে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হন।

দীপাদেবী জানান, মনমোহন আমলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরামর্শে ১২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা হয়েছিল। ১৮টি জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ কোম্পানি থেকে সোজা দিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হবে। মোদি সরকার রাফায়েলের কাছ থেকে কেনার কথাতে অনড় থাকলেও বাকি সব শর্ত পাল্টে দেয়। ১২৬টির জায়গায় মাত্র ৩৬টি বিমান কেনার কথা হয়। মেরামতির ব্যাপারে রাফায়েলের সঙ্গে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেডের চুক্তি খারিজ করে রিলায়েন্সকে সামনে নিয়ে আসা হয়, যে নতুন কোম্পানির যুদ্ধবিমান মেরামতির কোনও অভিজ্ঞতাই নেই।

তাঁর কথায়, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার কথা বলে যখন যুদ্ধবিমানের দাম এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই কংগ্রেসের সন্দেহ তীব্র হয়। তাঁরা নানাভাবে খবরাখরব সংগ্রহ করতে থাকেন। তাতেই বেরিয়ে আসে, এ শুধু দুর্নীতি বা কেলেঙ্কারির কথা নয়। এর সঙ্গে রয়েছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কথাও।

English text here

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker