Barak UpdatesHappeningsBreaking News

মোদির সুবাদেই সোজা টাকা ঢোকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, শোনালেন রাজদীপ রায়

ওয়েটুবরাক, ২৯ অক্টোবরঃ অন্যান্য জেলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শনিবার শিলচরেও ‘মোদি অ্যাট দ্য ২০–ড্রিমস মিট ডেলিভারি’ গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে। এই উপলক্ষে গোলদীঘি মলে সংক্ষিপ্ত সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ রাজদীপ রায় বলেন, মোদির ১৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং গত ৭ বছর ধরে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়কালকে পর্যালোচনা করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২২ দিকপাল ব্যক্তিত্ব । তাঁদের লেখাতেই ফুটে উঠেছে স্বপ্নকে কীভাবে সাকার করে তোলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি এ দিনের সভায় নিজেও এ ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন। মোদির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর্ব থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণ এবং পরবর্তীকালে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নকে তিনি পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করেন।

রাজদীপ বলেন, মোদি এখন আর ব্যক্তিবিশেষ নন, কাজকর্ম-চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেই একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। অথচ ২০-২১ বছর আগে তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন বিধায়কও ছিলেন না। আরএসএসের প্রচারক মাত্র। কিন্তু অরুণ জেটলি তাঁর ক্ষমতাকে পরখ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছে মোদির নাম প্রস্তাব করেছিলেন। ওই তো শুরু।

রাজদীপ জানান, দাঙ্গার পরে অনেকে তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছিলেন। তিনি মুখে কোনও জবাব দেননি। একের পর এর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে গুজরাটকে উন্নয়নের স্রোতে নিয়ে আসেন। রাজদীপের কথায়, যে গুজরাটের অর্ধেকটাই ছিল মরুভূমি, সেখানে এখন পুরো রাজ্যে কৃষিকাজ হয়। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের হাহাকার ছিল, এখন সবই পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলে। একই ভাবে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, সারা দেশে মাত্র ৯০০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল, এখন তা 60000 ছাড়িয়ে। এরই সুবাদে সরকারি অর্থ পেতে এখন আর এমপি, এমএলএ বা জিপি সভাপতির সই লাগে না, সরাসরি মাসে মাসে টাকা ঢুকে যাচ্ছে মানুষের অ্যাকাউন্টে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দরুণ এলপিজি বুক করার জন্য এজেন্সিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয় না। ঘরে ঘরে রান্নার গ্যাসের বন্দোবস্ত করায় মহিলাদের আর উনুনে ফুঁ দিতে হয় না। তাতে তাদের রোগের আশঙ্কা কমে গিয়েছে। ৩৭০ধারা, ২৫ নং ধারা, তিন তালাক প্রখা বাতিলের জন্য মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ করেন রামমন্দির রায় এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা। বলেন, নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে রামমন্দির রায় মেনে নেওয়ার জন্য আগেই মনের দিক থেকে প্রস্তুত করে দেন। ফলে রায় শোনার পর কোথাও কোনও গণ্ডগোল হয়নি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গে মোদির কূটনীতি ও বিদেশনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ডা. রায়। রাজদীপ জানান, বিশ্বে ইসলামিক দেশ রয়েছে ৪৯টি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর তাদের ৪৮টি দেশই মোদিকে সমর্থন করেছে। শুধু পাকিস্তান বিরোধিতা করেছে। কোভিড আসার এক বছরের মধ্যে ভারতের টিকা আবিষ্কার এবং তার প্রয়োগও যে মোদির নেতৃত্বের জন্য সম্ভব হয়েছে, সে কথাও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন শিলচরের সাংসদ।

অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, জেলা বিজেপির সভাপতি বিমলেন্দু রায়, প্রাক্তন সভাপতি উদয়শঙ্কর গোস্বামী, শিক্ষাবিদ  বিভাস দেব, এনবি দে, চন্দন দে, সজলেন্দু দাস লস্কর, মানস ভট্টাচার্য প্রমুখ। তাঁরাই একযোগে বইটির আবরণ উন্মোচন করেন। শুরুতে কিছু সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই। সঞ্চালনায় ছিলেন অভ্রজিত চক্রবর্তী। ধন্যবাদসূচক বক্তৃতা করেন রাজেশ দাস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also

Close
error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker