বিশ্ববিদ্যালয়ে উপেন ব্রহ্মের মূর্তি স্থাপনের দাবি দত্তরায়ের

ওয়েটুবরাক, ২ এপ্রিল : গত শুক্রবার বড়ো জাতির পিতা বা বডোফা হিসেবে অভিহিত প্রয়াত উপেন ব্রহ্মের জন্মদিন সারা আসামে ছাত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে বৈপ্লবিক অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় সহ আসামের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি তরফে তাঁর প্রতিকৃতি স্থাপন করার আবেদন জানালেন আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদীপ দত্তরায়।

প্রদীপবাবু উপেন ব্রহ্মের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তথা ইউজিসির পক্ষ থেকে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য এক কোটি জনসংখ্যার ভিত্তি দরকার বলে জানানো হয়। তখন বড়োল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন উপেন ব্রহ্ম এবং তাঁদেরও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল। প্রদীপবাবু বলেন, গুয়াহাটিতে তাঁর সঙ্গে উপেন ব্রহ্মের আলোচনার প্রেক্ষিতে তিনি তাদের এই দাবি ছেড়ে দিয়ে বড়োল্যান্ডের ৪০ লক্ষ জনসংখ্যা সহ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিকে সমর্থন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন৷ এর বিনিময়ে আকসার তরফে তাকে বড়োল্যান্ডের আন্দোলনকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় । প্রদীপ দত্তরায় বলেন, এরপর ত্রিপুরা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ও ওই দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের সমন্বয়ে এক কোটি জনসংখ্যার ভিত্তি তৈরি হয়। তাই আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রয়াত উপেন ব্রহ্মের অবদান কখনোই ভোলা যাবে না এবং সেজন্যই বিটিসির সহায়তায় তিনি প্রয়াত এই নেতার নামাঙ্কিত একটি প্রেক্ষাগৃহ ভবন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করিয়েছেন।

প্রদীপবাবু এদিন আরও বলেন, বড়োল্যান্ডে নিয়ে তাকে যে সম্মান জানানো হয়েছিল তা তিনি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখবেন। তিনি এও বলেন, সাংবাদিকদের সামনে কথা দিচ্ছেন যে অনতিবিলম্বে বিটিসির সহায়তায় আসাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বডোফার একটি প্রতিকৃতি স্থাপনের তিনি উদ্যোগ নেবেন। একই সঙ্গে উপেন ব্রহ্মের স্মৃতি বিজড়িত গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় সহ আসামের অন্যান্য সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে অনুরূপ ভাবে প্রয়াত এই নেতার প্রতিকৃতি স্থাপনের ব্যাবস্থা করা হয় সেই মর্মে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জোরালো আবেদন জানিয়েছেন।

এছাড়া যে স্বপ্ন নিয়ে প্রয়াত উপেন ব্রহ্ম আজীবন লড়াই চালিয়ে গেছেন সেই পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবির বাস্তবায়নের ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি উদ্যোগ নেবার আবেদন জানিয়েছেন।

এদিন একই সাথে তিনি বরাকের ভাষাশহিদদের স্বীকৃতি ও ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণের ব্যাপারে অবিলম্বে উদ্যোগ নিতেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।