HappeningsBreaking News
পাশেই ঘুমিয়েছিল ছেলে, আচমকা দেখি, বিছানায় নেইAnish was sleeping with me, suddenly I saw, he was not there
ঝুমা দেব
আমরা তিনজন এক বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম। আমি, অনীশ আর মেয়ে অরুন্ধতি। মাঝরাতে একবার ওঠি। ছেলেকে প্রস্রাব করিয়ে আনি। পরে আরেকবার ঘুমটা হালকাভাবে ভাঙে। দেখি, মশারীর তিনকোণা খোলা। মনে হল, মেয়ে বোধ হয় গরমের যন্ত্রণায় খুলে দিয়েছে। আবার ঘুমিয়ে পড়ি। সাড়ে তিনটা নাগাদ কেমন একটা শব্দ পাই। অনীশের ঘুম-জড়ানো গলার শব্দ। তাকিয়ে দেখি, সে বিছানায় নেই। ছুটে যাই শৌচাগারে। নেই। পাশের ঘরে তারা বাবার বিছানায় উঁকি মারি। সেখানেও সে নেই। তাঁর বাবাও জেগে ওঠেন। তখনই ধরা পড়ে, আমাদের বিছানার পাশের জানালাটা কেটে নামিয়ে রাখা। দরজাও খোলা। বেরিয়ে পাগলের মতো এদিক-ওদিক খুঁজি। লাভ হয়নি। তাঁর বাবা পুলিশকে জানান। প্রচুর পুলিশ আসে। এলাকাবাসীও বেরিয়ে পড়ে তার খোঁজে। হঠাতই আমাদের বাড়ি থেকে সামান্য এগিয়ে রাস্তার ও-পারে যে খালি বাড়ি পড়ে রয়েছে, সেখান থেকে তার আওয়াজ আসে। পুলিশই প্রথম শুনতে পায়। পরিত্যক্ত বাড়ি। চারদিক আগাছায় ভর্তি। এর শৌচাগারে গিয়ে অনীশকে পাওয়া যায়। চোখ-মুখ বাঁধা। হাতদুটোও পিছমোড়া করে একটি পাইপের সঙ্গে বেঁধে রাখা।
এই ঘটনায় আমাদের একজনকেই সন্দেহ। বিষ্ণু নুনিয়া। এলাকায় কত কাণ্ড যে করেছে। কতবার জেলে গিয়েছে। কিছুদিন আগেও চুরির মামলায় জেল থেকে জামিন পেয়েছে। আমার ছেলেটাকে কী কষ্টই না দিল। সে এনআইটি-র কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। সকাল সাতটাতেও তার ঘুম ভাঙে না। স্কুলে যাওয়ার জন্য খুব ডাকাডাকি করে তুলতে হয়। আর সে-ই কিনা রাত ৩টা থেকে জাগা। হাত-চোখ-মুখ বাঁধা। মাথা নেড়ে নেড়ে খুব কষ্টে মুখের কাপড়টা একটু নামাতে পেরেছিল বলে রক্ষা! আওয়াজ করতে পেরেছিল। তাও পুলিশের খোঁজাখুজি টের পেয়ে দুষ্কৃতী সম্ভবত সরে পড়েছিল। এর আগে নাকি বারবার অনীশকে হুমকি দিচ্ছিল, চুপ থাকবি। আওয়াজ করলে চাকু মেরে দেব।
(অনীশের মায়ের এই বক্তব্য ওয়েটুবরাক ডেস্কে অনুলিখিত)