India & World UpdatesHappeningsCultureBreaking News
পঞ্চাশ পা দূরে বিমান, উঠতে পারলেন না ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
ওয়েটুবরাক, ৩০ মার্চঃ বিমানে ঢোকার সময় ছিল ভোর ৪.৫৫ মিনিট পর্যন্ত। টলিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের দাবি, মিনিট ১৫ দেরি হলেও তখনও বিমানের গেট বন্ধ হয়নি। দাঁড়িয়েছিল তাঁর থেকে মাত্র ৫০ পা দূরে। কিন্তু অনুরোধ, উপরোধ, বচসা, শেষপর্যন্ত কান্নাকাটি করেও বিমানে উঠতে পারেননি। আহমেদাবাদগামী প্রথম সারির ওই বিমান সংস্থার কর্মীদের এককথা, সময় পেরিয়ে যাওয়ার এক মিনিট পরেও গেট খুলে দেওয়ার বিধান নেই। পরে তাঁকে বিকেলের বিমান ধরে আহমেদাবাদ পৌঁছাতে হয়। সেখানে একটি হিন্দি সিনেমার শ্যুটিং চলছে তাঁর।
ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, আহমেদাবাদের বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের গেট নং ১৯-এ বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পৌঁছন ৫.১০ থেকে ৫.১২ মিনিটের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, বোর্ডিং গেট অনেক ক্ষণ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! এবং তাঁকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তাঁর নাম ঘোষণাও করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর কাছে কোনও ফোন আসেনি।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘মাত্র ৫০ পা দূরে বিমান দাঁড়িয়ে। আমি দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু যেতে পারছি না। অথচ আমার বোর্ডিং পাস থেকে শুরু করে সিট নম্বর সব মজুত। কিছু দিন আগেই আমায় সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মানসূচক পাসপোর্টও দেওয়া হয়েছে। নয় নয় করে বেশ কয়েক বার এই সংস্থার বিমানে চড়ে যাতায়াতও করেছি। কোনও দিন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি!’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতুপর্ণা ওই বিমান সংস্থার ওপর রাগ ঝাড়লে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীর সঙ্গে এমনটা হয়নি বলে যেমন একাংশ মন্তব্য করেছেন, তেমনি অনেকে লিখেছেন, বিমানযাত্রী হিসেবে ঋতুপর্ণাকে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। অন্য যাত্রীরা সময়মত পৌঁছাতে পারলে তিনি পারলেন না কেন। তাঁর জন্য দ্বিতীয়বার গেট খুলে দেওয়া হলে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে অন্যায় করা হতো।
টলিউডের আর এক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ঋতুপর্ণার নাম উল্লেখ না করেই একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে লেখা, ‘ট্রেন হোক বা প্লেন, নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা’।